ক্যাম্পাস

‘চাইতে গেলাম ডিগ্রি উপাধি পেলাম জঙ্গি’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থীদের অনুষদীয় সভায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গি আখ্যা দেয়ার প্রতিবাদে মানবন্ধন করেছে ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

Advertisement

এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার এবং ডিগ্রি বাস্তবতায়ন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘চাইতে গেলাম ডিগ্রি উপাধি পেলাম জঙ্গি, আমি জঙ্গি???, চাইলাম ডিগ্রি হইলাম সন্ত্রাসী, ডিগ্রি নিয়ে প্রহসন মানি না মানব না, আর নয় কালক্ষেপণ এবার চাই বাস্তবায়ন’ ইত্যাতি লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।

গত ২৩ এপ্রিল প্রকৌশল ডিগ্রির দাবিতে গণ অনশন থেকে ভোররাতে ভবনের তালা ভেঙে ২২ জন শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাদের ছেড়েও দেয়া হয়। তবে ২৯ এপ্রিল এ বিষয়ে অনুষদীয় সভায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি আখ্যা দেয়া হয় এবং সভার এ সিদ্ধান্ত রেজুলেশনভুক্ত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আপনারা আপনাদের ছাত্রদের কিভাবে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী বলেন? আমরা জঙ্গি হলে আপনারা শিক্ষকরা মদদদাতা। এ পৃথিবীর সব থেকে ঘৃণিত শব্দ হলো ‘জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী’। এগুলো কেন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে? এর সদুত্তর চায় শিক্ষার্থীরা।

Advertisement

তারা আরও বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিচারের জন্য যে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে তা অচিরেই বাতিল করতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি আখ্যা দেয়া অনুষদীয় সভার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। এছাড়াও ২০১২ -১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে অনুষদভুক্ত সকল শিক্ষার্থীদের প্রকৌশল ডিগ্রি দেয়ার দাবি জানান তারা। এসব দাবি না মেনে নিলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেন শিক্ষার্থীরা।

মানববন্ধন চলাকালীন আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবিগুলো জানায়। এ সময় উপাচার্য তাদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দেয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক মমতাজুল ইসলাম বলেন, অনুষদীয় সভার সকল শিক্ষকের সিদ্ধান্তানুযায়ী সেই সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী ও জঙ্গি বলা হলেও পরে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় শব্দ দুটি এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement