হজ ও ওমরার প্রথম কাজ হলো ইহরাম বাধা। হজ ও ওমরার উদ্দেশ্যে নিজ দেশ থেকে পবিত্র নগরী সৌদি আরব রওয়ানা হওয়ার আগেই বাসা থেকেই ইহরাম বাঁধতে হয়।
Advertisement
হজ বা ওমরা সহজে সম্পাদনের জন্য ইহরামের উদ্দেশ্যে গোসল করে ইহরামের পোশাক পরেই ইমাম কুদুরি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ দোয়াটি পড়তে বলেছেন-
اَللَّهُمَّ اِنِّي اُرِيْدُ (العُمْرَةَ - الْحَجَّ) فَيَسِّرْهُ لِيْ وَ تَقَبَّلْهُ مِنِّي
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল উমরাতা/হাজ্জা ফাইয়াসসিরহু লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি’অর্থ : হে আল্লাহ! আমি ওমরার/হজের ইচ্ছা করছি; আপনি আমার জন্য তা সহজ করে দিন এবং আমার পক্ষ থেকে তা কবুল করুন।’
Advertisement
অতঃপর ২ রাকআত নফল নামাজ পড়া। অতঃপর এক তালবিয়া পড়া। ইহরাম বাধার পর হজ বা ওমরা পালনেচ্ছুগণ বেশি বেশি তালবিয়া, দরূদ ও নিজেদের ইচ্ছা মতো দোয়া পাঠ করবে।
তবে ইহরামের পর এ দোয়াটি পাঠ করা সুন্নাত-
اَللَّهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ رِضَاكَ وَ الْجَنَّةَ وَ اَعُوْذُبِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَ النَّارِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিদাকা ওয়াল জান্নাতা ওয়া আউ’জুবিকা মিন গাদাবিকা ওয়ান্নারি’অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার সন্তুষ্টি ও জান্নাতের আশা করছি এবং আপনার অসুন্তুষ্টি ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।’
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইহরামের পর তালবিয়া, দরূদ ও অন্যান্য দোয়ার পাশাপাশি ছোট্ট এ দোয়াটি পড়ে দুনিয়া পরকালের কল্যাণ লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমকেএইচ