বর্ষাকালে আমাদের জন্য বৃষ্টি যতটা স্বস্তিদায়ক, ভ্যাপসা গরম ঠিক ততটাই অসহ্যকর। এই ভ্যাপসা গরমের মধ্যে খাওয়াদাওয়ায় একটুখানি অনিয়ম হলেই আর দেখতে হবে না! শরীর খারাপ করবেই। ঠিকভাবে হজম না হলে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে অ্যাসিডিটি আর গ্যাসের সমস্যা। এমনকি ঘুমেও ব্যাঘ্যাত ঘটবে নিয়মিত।
Advertisement
অতিরিক্ত গরমে যাদের বাইরে বের হতে হয়, তারা পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। তা না হলে শরীরের তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। হতে পারে জ্বর। থাইরয়েড গ্ল্যান্ডও গরমের প্রভাবে অতি সক্রিয় হয়ে শরীরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে।
বেশি তেলমশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন, যে পানি পান করছেন তা বিশুদ্ধ কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন। রাস্তার পাশের খোলা খাবার খাবেন না। জেনে নিন কোন খাবারগুলো খেলে এই ভ্যাপসা গরমেও শরীর ভেতর থেকে ঠান্ডা থাকবে-
প্রোটিন হজম করার সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই এসময় মাংস-ডিমের পরিমাণটা কমানো দরকার। একান্ত প্রোটিন খেতে হলে আস্থা রাখতে পারেন ডাল, মটরশুঁটি বা ছাতুর উপর। চলতে পারে দই, ছানাও।
Advertisement
ঘরের তাপমাত্রার বা ঠান্ডা পানি পানের পরিমাণ বাড়ান। যেদিন বাইরে ঘোরাঘুরির পর শরীরে জ্বালাভাব টের পাবেন, সেদিন ঠান্ডা পানির বালতিতে পা ডুবিয়ে খানিকক্ষণ বসে থাকুন, আরাম পাবেন। খেতে পারেন ডাবের পানি, দইয়ের ঘোল ইত্যাদিও। চলতে পারে আদা দেওয়া চা-ও।
এই মৌসুমে বিভিন্নরকম ফল পাওয়া যায়। এসময় বেদানা বা নানা ধরনের লেবুর রস বা আস্ত ফল খেতে পারলে খুব ভালো হয়। কমলা, পাতিলেবু, বাতাবিলেবু শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকর।
শসা, তরমুজ, লাউ, কুমড়ো, করলা, ঝিঙে ইত্যাদি খাবারের তালিকায় রাখুন। তবে রাতের দিকে তরমুজ খেলে অনেকে হজম করতে পারেন না, কারণ এর মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে। আপনার সেরকম কোনো সমস্যা আছে কিনা দেখে নিন।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতার জুড়ি নেই। প্রতিদিন এক গ্লাস পুদিনা পাতার রস পান করুন। এটি আপনার শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা করে দিবে। এই সময়ে কাঁচা পেঁয়াজও খুব উপকারী। পেঁয়াজে এক ধরনের ‘অ্যান্টি অ্যালার্জেন’ রয়েছে যা শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা রাখে।
Advertisement
কোমল পানীয়র বদলে লেবুর শরবত খেতে পারেন। এটি ভ্যাপসা গরমে আপনার শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে খেলেও সারাদিন শরীর ঠান্ডা ও ক্লান্তিহীন থাকবে।
এসময়ের সবচেয়ে ভালো খাবার হলো টক দই। কারণ এতে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরকে চনমনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একই সঙ্গে শরীরের সমতা বজায় রাখতেও সাহয্য করে দই ৷
এইচএন/জেআইএম