শত বছর বয়সী নারী রাবেয়ার বিরুদ্ধে থাকা অস্ত্র মামলা স্থগিত করার পরও মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করায় ঢাকার ট্রাইব্যানাল-২ এর বিচারক আল মামুনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
হাইকোর্ট বলেন, জেলা জজ ও সহকারী জজরাও বিচার বিভাগের অংশ। তাদের সুনাম মানে বিচার বিভাগের (আমাদের) সুনাম। আর তাদের দুর্নাম মানে জুডিশিয়ারির (আমাদের) দুর্নাম।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে পরবর্তীতে ১৭ জুলাই বিস্তারিত শুনানির জন্য বুধবার (৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
আদালতে বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।
Advertisement
শুনানিতে এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, নিম্ন আদালতের প্র্যাকটিস পেশকার আদেশ লিখে দেন আর বিচারক স্বাক্ষর করেন। আমরা পেশকারকে শোকজ করব। তারপর এ বিষয়ে লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে পারব।
তখন আদালত বিচারককে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনারা বিচার বিভাগের (জুডিশিয়ারির) অংশ। আপনাদের সুনাম মানে বিচার বিভাগের সুনাম, আর আপনাদের দুর্নাম মানে বিচার বিভাগের দুর্নাম।
এ পর্যায়ে বিচারক মো. আল মামুনকে এবং এপিপি শাহাবুদ্দিন মিয়াকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়ে আদেশ দেন আদালত। এর আগে শতবর্ষী বৃদ্ধার পক্ষের আইনজীবী মো. আশলাফুল আলম নোবেল, রাবেয়া খাতুনের জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে উপস্থাপন করেন।
বিচারকের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত শুনানির জন্য আগামী ১৭ জুলাই পরবর্তী দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
Advertisement
এর আগে হাইকোর্টে স্থগিত থাকার পরও মামলা পরিচালনার কারণ ব্যাখ্যা করতে আজ (৩ জুলাই, বুধবার) সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাইকোর্টে হাজির হন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারকক মো. আল মামুন। মামলার শুনানির পুরো সময় বিচারক ও ওই ট্রাইব্যুনালের এপিপি দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এফএইচ/আরএস/এমকেএইচ/জেআইএম