বিনোদন

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় নায়ক নায়িকাদের বৃষ্টিতে ভেজা বন্ধ

শিল্প মানুষের জন্য। মানুষ ভালো না থাকলে শিল্পের চাষাবাদ বৃথা। তাই সবার আগে মানুষকে টিকে থাকতে হয়, ভালো থাকতে হয়। এই বিষয়টিই যেন নতুন করে প্রমাণ করলেন সিনেমার পরিচালকেরা। যারা দেশে পানির সংকটের দিনে দারুণ এক উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এলেন।

Advertisement

ভারতজুড়ে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ পানি সংকটের আশংকা। তাপমাত্রা বেড়ে গেছে সেখানে। দেশটির বেশ গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য তামিলনাড়ুতেও ইতিমধ্যেই জলের হাহাকার দেখা দিয়েছে। আর সে কারণে ছবিতে বৃষ্টির দৃশ্য একেবারেই না রাখার উদ্যোগ নিেন তামিল সিনেমা নির্মাতারা।

ভারতীয় গণমাধ্যমে তামিল পরিচালক জি ধনঞ্জয়ন বলেন, ‌‘বৃষ্টির দৃশ্য এখন এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বেশি পরিমাণে জল অপচয় অপরাধের সামিল। এ ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।’

কিন্তু কোনো ছবিতে বৃষ্টির দৃশ্য যদি অপরিহার্য হয়? সেক্ষেত্রে একটি গোটা বাড়ির দৃশ্য শুট করা হচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি জানলার দৃশ্যপটে দেখানো হবে বৃষ্টি। এর জন্য মাত্র এক বালতি জলই দরকার। ফলে বন্ধ হবে জলের অপচয়।

Advertisement

সম্প্রতি আকাশবাণীতে ‘মন কি বাত’ শীর্ষক মাসিক অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জল সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য ৩টি পরামর্শ দেন দেশবাসীকে। প্রথম, সচেতনতা। ক্রীড়া, বিনোদন, শিক্ষা জগতের মানুষ সংস্থার কাছে তার আবেদন, জল সংরক্ষণের জন্য প্রচার চালাতে তারা যেন মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।

দ্বিতীয়ত, জল সংরক্ষণের প্রথাগত জ্ঞানকে আরও বেশি কাজে লাগাতে হবে। তৃতীয়ত, কোনও ব্যক্তি বা অলাভজনক সংস্থা যদি এ বিষয়ে কাজ করে থাকে, তাদের কর্মকাণ্ড আরও বেশি করে তুলে ধরতে হবে।

মূলত প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পরই সিনেমায় জলের অপচয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন নির্মাতারা। তাদের এই উদ্যোগ ভারতজুড়ে বেশ প্রশংসিত হচ্ছে।

এদিকে ভারতের পানি সংকট নিয়ে নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, আগামী ১৫ মাসের মধ্যে চেন্নাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ-সহ ২১ একটি শহরে জলের অভাব দেখা দিতে চলেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে থাকবে না খাওয়ার মতো পানীয় জল।

Advertisement

এলএ/আরএস/জেআইএম