দেশজুড়ে

চলন্ত বাসে নার্সকে ধর্ষণ, নাম বদলে রাস্তায় নামছে ‘স্বর্ণলতা’

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে নার্স তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বোরহান এখনও গ্রেফতার হয়নি। জব্দকৃত বাসের ভেতরে এখনও লেগে আছে তানিয়ার রক্ত। শোকে মুহ্যমান তানিয়ার পরিবার। কিন্তু এরই মধ্যে নাম পরিবর্তন করে ফেলেছে স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসগুলো। আবারও রাস্তায় চলাচলের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

অভিযোগ রয়েছে, স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসগুলোর রঙ পরিবর্তন করে অন্য নামে চালানোর চেষ্টা করছেন বাস মালিক ও পরিবহন নেতারা। এরই মধ্যে রঙ করে বাসের নাম পরিবর্তন করা হয়। কটিয়াদী এক্সপ্রেস নাম দিয়ে চালানোর চেষ্টা করে বাধার মুখে ব্যর্থ হয়ে এবার ‘বাংলার সয়েল’ নামে আবারও বাসগুলো রাস্তায় নামানোর চেষ্টা চলছে। গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার কমিউনিটি সেন্টারের পাশের একটি গ্যারেজে বাসগুলো রং করে নতুন নামকরণের প্রক্রিয়া চলছে।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ বিআরটিএর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং আরটিসির অনুমোদন না থাকলেও মালিক সমিতির প্রভাবশালীদের ‘ম্যানেজ’ করে আবারও অন্য নামে স্বর্ণলতা পরিবহন রাস্তায় নামানোর চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ‘ঢাকা-কটিয়াদী ভায়া কাপাসিয়া রুটে গাড়ি চলাচলের জটিলতা নিরসনে’র এজেন্ডা দিয়ে আগামীকাল বুধবার ঢাকায় জরুরি সভার আহ্বান করেছে। এতে উপস্থিত থাকার জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কাছে চিঠি দিয়েছে মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন সমিতি। গত ১৭ জুন এ চিঠি দেয়া হয়।

গত ৬ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) নামে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে কর্মরত এক নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এরপর থেকেই স্বর্ণলতা পরিবহনের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন। নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে।

Advertisement

এ ঘটনায় স্বর্ণলতা বাসের চালক কাপাসিয়ার নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার লালন মিয়াকে (৩৩) পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তবে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত বোরহান নামে এক আসামিকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে স্বর্ণলতা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পাভেল মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. আ. মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বাসগুলোর রুট পারমিট ও বিআরটিএর অনুমোদন আছে। তাই আরটিসির অনুমতি দরকার নেই। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্যই সমিতির সভা ডাকা হয়েছে।

নূর মোহাম্মদ/এসএএস/জেআইএম

Advertisement