গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ফরিদপুর এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে অটোস্পিনিং মিলের তুলার গুদামে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কারখানার নিরাপত্তাকর্মী রাসেল মারা গেছেন।
Advertisement
নিহত রাসেল (৩৬) ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উলুল গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি কারখানা কোয়ার্টারে থেকে নিরাপত্তাকর্মীর কাজ করতেন। এ ঘটনায় কারখানার এসি প্ল্যান্টের শ্রমিক আনোয়ারুল, সুজন ও রায়হান নামের তিনজন শ্রমিক নিখোঁজ আছেন। তাদের স্বজনরা কারখানার ভেতরে খোঁজ করছেন।
নিখোঁজ সুজনের ভাই হাসান জানান, আগুন লাগার পরও তার মোবাইল খোলা ছিল, এখন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরজাহান আক্তার জানান, কারখানার টয়লেটে আটকা পড়েছিলেন নিহত রাসেল। আগুন লাগার পরপর কারখানার ফায়ার এ্যালার্ম বাজানো হয়। কিছু শ্রমিক কারখানার নিজস্ব অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থার মাধ্যমে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে টয়লেটের ভেতর রাসেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হয়। কারখানার অন্যান্য শ্রমিক ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কারখানার ভেতর দিয়ে তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে শৌচাগারের (টয়লেটের) দেয়াল ভেঙে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
Advertisement
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মাহমুদ জানান, রাসেল নামের একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।
গাজীপুর ফায়ার স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তারুজ্জামান জানান, শ্রীপুর, জয়দেবপুর ও ভালুকা ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।
কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ গোডাউনে মজুদকৃত তুলার পরিমাণ ও দাম কিছুই জানাতে পারেননি। আগুন লাগার সঠিক কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি সেটিও জানাতে পারেননি। তবে তিনি জানান, কারখানার নিজস্ব অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা সচল ছিল। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় এঘটনা ঘটেছে।
শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রাম প্রসাদ পাল বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে অটোস্পিনিং মিলের তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান। পরে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি এবং ভালুকা ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিটের কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেন। বিকেল পৌনে চারটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনে গুদামে থাকা তুলা ও অন্যান্য মালামাল পুড়ে গেছে। আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
Advertisement
তিনি আরও জানান, পানি সংকট ও কারখানার অভ্যন্তরীন রাস্তার সংকীর্ণ হওয়াতে আগুন নেভাতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।
শিহাব খান/এমএএস/পিআর