ঘরে অ্যাকোরিয়াম রাখা ভালো। তাতে অনেক রকম সুবিধা পাওয়া যায়। তা যেমন বসার ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়; তেমনই প্রভাব পরে স্বাস্থ্যেও। এছাড়া অ্যাকোরিয়াম বসানো খুব কঠিন কিছু নয়। বাসায় খুব কম খরচেই বসাতে পারবেন অ্যাকোরিয়াম। তাই আগেই জেনে নিন প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য-
Advertisement
• প্রথমে ঘরের জায়গা অনুযায়ী অ্যাকোরিয়াম কিনুন। মনে রাখবেন, বেশি ছোট অ্যাকোরিয়ামে মাছ রাখা কঠিন। তাই অ্যাকোরিয়াম ২x১x১ ফুটের কম না করাই ভালো।
• ঘরের শক্ত টেবিল বা স্থাপনার থার্মোকলের উপরে অ্যাকোরিয়াম বসাবেন। সরাসরি রোদ আসে এমন জায়গায় অ্যাকোরিয়াম রাখা ঠিক নয়।
• মাছকে সুস্থতার সাথে টিকিয়ে রাখতে গেলে পানিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন দরকার। তাই অ্যাকোরিয়ামের আকার অনুযায়ী ফিল্টার লাগাবেন।
Advertisement
• মাছ নির্বাচন করার আগে মাছটি সম্পর্কে জেনে নিন। কোন মাছের কতটা পানি দরকার। কোন কোন মাছ একসঙ্গে রাখা যায়, তার চার্ট পাবেন গুগলে। ৩-৪ ফুটের থেকে ছোট অ্যাকোরিয়ামে গোল্ডফিশ, সার্ক জাতীয় মাছ না রাখাই ভালো। বেশি কঠিন প্রজাতির মাছ এড়িয়ে চলুন।
• জেনে নিন অ্যাকোরিয়ামের সাইজ অনুযায়ী পছন্দের মাছ কতগুলো রাখা যাবে। মাছ কম রাখুন। তাতে ফাঁকা দেখালেও নোংরা কম হবে। মাছও সাঁতার কাটার অনেক জায়গা পাবে।
আরও পড়ুন > এবার পাঙ্গাসের আচার ও পাউডার উদ্ভাবন
• অ্যাকোরিয়াম সাজাতে ন্যাচারাল ছোট নুড়ি বা বালি ব্যবহার করুন। রঙিন পাথর থেকে পানিতে রাসায়নিক বিক্রিয়া হতে পারে। মাছের স্ট্রেসও বাড়তে পারে।
Advertisement
• প্লাস্টিকের গাছ দিয়ে সাজালে মাছের ক্ষতি হতে পারে। মাছ যদি গাছ না খায়, তাহলে জীবিত গাছ দিন। সে ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো দিতে হবে। যেমন- আমাজন সোর্ড, কাবোম্বা, স্যাজিটিরিয়া, লিলি, ক্রিপ্টোকোরিন গাছ ভালো।
• অ্যাকোরিয়াম বসিয়েই অনেক মাছ ছাড়বেন না। উপকারী ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে একটা-দুটো করে মাছ ছাড়ুন।
• দোকানে অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে ভুল মাছ বা তথ্য নিয়ে ঠকবেন না। বিশ্বস্ত দোকান থেকে মাছ কিনবেন।
• ভালো মানের শুকনো খাবার অল্প দেবেন। মনে রাখবেন, কম খাবারের চেয়ে বেশি খাবার খেয়েই মাছ মরার সম্ভাবনা বেশি।
আরও পড়ুন > আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করবেন যেভাবে
• সপ্তাহে একদিন আধঘণ্টা সময় দিন। মাছ থাকতেই পাইপ দিয়ে অর্ধেক পানি ফেলে দিন। কাঁচ পরিষ্কার করুন নরম স্পঞ্জ দিয়ে। তারপর আবার পানি দিন।
• দরকার না হলে পানিতে অযথা কোন ওষুধ বা কেমিক্যাল দেবেন না। এতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য নষ্ট হয়।
এসইউ/জেআইএম