কথায় কথায় গ্যাসের দাম বাড়ানো সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে না পারলেও বর্তমান সরকার কথায় কথায় গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করছে। এর ফলে জনজীবনে নাভিশ্বাস নেমে এসেছে। তারপরও সরকারের কিছু যায় আসে না।
Advertisement
আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদি চালক দল কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজিত মানববন্ধনে এ মন্তব্য করেন আলাল।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের গত বছরের প্রতিবেদনে তিতাসসহ কয়েকটি গ্যাস কোম্পানি একচেটিয়া লাভ করে গেলেও প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বাকি রেখেছে। এ অর্থ তারা রাজস্ব খাতে জমা দিচ্ছে না। এ অর্থ দিয়ে দেশে নতুন করে আরও পাঁচটি পদ্মা সেতু নির্মাণ করা সম্ভব।’
আলাল বলেন, ‘সরকার সে পাওনা অর্থ আদায় করতে ব্যর্থ হলেও নতুন করে আবারো গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষাণা দিয়েছে। অথচ তারা দেশের গ্যাস চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ব্যর্থ হচ্ছে। মোবাইল ফোনে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সরকার ২৭ টাকা নিয়ে নেবে।’ কথায় কথায় মূল্য বৃদ্ধি বর্তমান সরকারের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাট চলছে, পরিস্থিতি এমন অবস্থায় যে, দেশের রাষ্ট্রপতিকে ঠিকাদারদের রডের বদলে বাঁশ আর সিমেন্টের বদলে বালি না দিতে আহ্বান করতে হচ্ছে। এটি পর্যালোচনা করলে বোঝা যাবে দেশ এখন কোথায় নেমে গেছে।’
Advertisement
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচি চলছে। এ প্রতিবাদ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই নেতা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করায় বাসাবাড়ির ব্যবহৃত গ্যাসের ব্যয় বেড়ে যাবে। অল্প আয়ের মানুষরা তাদের পরিবার চালাতে হিমশিম খাবে।’ শিল্পপতিদের খুশি করতে নতুন করে সরকার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে বলে মন্তব্য করেন তারা। এ সময় তারা গ্যাসের দাম কমানোর দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদি চালক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম প্রমুখ।
একই দাবিতে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন পালন করেছে নাগরিক ঐক্য ফোরামের নেতারা। এতে ফোরামের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না প্রধান অতিথি ছিলেন।
Advertisement
এমএইচএম/এসআর/এমএস