লোকসানের খাতায় নাম লেখানো পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ফাস্ট ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম।
Advertisement
ফাস্ট ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ সভায় তাকে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।
ডিএসই জানায়, ইসরাফিল আলমকে চেয়ারম্যান করার বিষয়ে ফাস্ট ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক কার্যকর হবে।
এদিকে লোকসানের খাতায় নাম লেখানো আর্থিক খাতের এ কোম্পানিটি শেয়ার হোল্ডারদের এবারও কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
Advertisement
লভ্যাংশের বিষয়ে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের নেয়া সিদ্ধান্ত শেয়ার হোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ সেপ্টেম্বর। আর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ জুলাই।
সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি লোকসান করেছে ৩ টাকা ৪৯ পয়সা। আর ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা।
এদিকে বছরের পর বছর ধরে শেয়ার হোল্ডারদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দেয়ায় পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ঠিকানা হয়েছে পচা বা ডেজ গ্রুপের তলিকায়। সর্বশেষ ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার হোল্ডারদের ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দিয়েছিল।
এরপর টানা চার বছর কোম্পানিটি থেকে লভ্যাংশ পাচ্ছে না শেয়ার হোল্ডাররা। শুধু তাই নয় ২০১৬ ও ১৭ সালের বার্ষিক সাধারণ সভাও করতে পারেনি কোম্পানিটি। তবে এ দুই বছরের বার্ষিক সধারণ সভা চলতি বছরে অনুষ্ঠিত হবে হবে বলে জানানো হয়েছে। ২৫ জুলই দুটি বছরে বার্ষিক সাধারণ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এ দুই বছরে কোম্পানিটি থেকে কোনো ধরনের লভ্যাংশ পাবে না শেয়ার হোল্ডররা।
Advertisement
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৪১ দশমিক ৪৫ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি শেয়ারের মধ্যে ৪০ দশমিক ২২ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শেয়ার।
এমএএস/এএইচ/এমএস