সাধারণত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষ অধিনায়ককে প্রশ্নবানে জর্জরিত করার একটা চেষ্টা থাকে। এমন অনেক নজির আছে, বড় ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক বা কোচকে বিপাকে ফেলতে কথার মারপ্যাচে আটকাতে চেষ্টার ত্রুটি থাকে না প্রতিপক্ষ প্রচার মাধ্যমের।
Advertisement
কিন্তু বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। রাত পোহালে খেলা বাংলাদেশের সঙ্গে। কোথায় এটা সেটা বলে মাশরাফিকে বিব্রত আর বিভ্রান্তিতে ফেলে দেবেন, তা না- উল্টো মাশরাফিকে নিয়ে মেতে থাকলেন ভারতীয় সাংবাদিকরা।
অনেক প্রশ্ন হলো, যার পরতে পরতে শুধু মাশরাফি বন্দনা। এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করে উঠলেন, ‘আচ্ছা মাশরাফি, আগামী ১০-১৫ বছর পর আমরা কি আপনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখবো?’
ভয়-ডর, সংকোচ, জড়তা যার অভিধানে নেই, সেই মাশরাফিও যেন খুব লজ্জা পেলেন। চোখ মুখে রাজ্যের লজ্জা এনে রসিকতায় ভরা জবাব দিলেন, ‘আপনি কি আমাকে মেরে ফেলতে চান?’ টাইগার অধিনায়কের এমন উত্তরে হাসির রোল পড়ে যায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষে।
Advertisement
এদিকে আগে দেখা যেত, ঢাকায় ভারতীয় দল খেলতে গেলে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের কাছ থেকে এটা ওটা জেনে, এর ওর সম্পর্কে ধারণা নিতেন ভারতীয় সাংবাদিকরা। এবার সে ধারা পাল্টেছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ইমেজ অনেক বদলেছে। তারাও স্টারের মর্যাদা পাচ্ছেন এখন।
ভারতের অন্যতম শীর্ষ ও অভিজাত ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য টেলিগ্রাফে’র প্রধান ক্রিকেট করেসপনডেন্ট লোকেন্দ্র প্রতাপ শাহী; যিনি কলকাতা কিংবা দিল্লিতে বসে টেলিফোনে স্যার ভিভ রিচার্ডস, ইমরান খান, স্যার ইয়ান বোথাম, স্টিভ ওয়াহ, ব্রায়ান লারা, রিকি পন্টিং, ওয়াসিম আকরাম, অর্জুনা রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ ডি সিলভা, শেন ওয়ার্নসহ ভিবিন্ন দেশের সব নামি-দামি ক্রিকেটারের ইন্টারভিউ নিতেন, সেই শাহী যখন প্রেস কনফারেন্স শেষে উঠে ছুটে এসে মাশরাফিকে জড়িয়ে ধরেন এবং বলেন, ‘এক্সকিউজ মি, ক্যান আই হ্যাভ এ ফটোগ্রাফ উইদ ইউ?’
তখন আর বুঝতে বাকি থাকে না, মাশরাফির ইমেজ এখন অনেক বেশি উজ্জ্বল আর বড়। মাশরাফির সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজার রাবিদ ইমাম আর নিরাপত্তারক্ষী প্রায় না করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাশরাফি ঠিক প্রেসবক্সের বাইরে এক কোনায় গিয়ে লোকেন্দ্র প্রতাপ শাহীর অনুরোধ রক্ষা করেন।
এআরবি/এসএএস/জেআইএম
Advertisement