আন্তর্জাতিক

নিখোঁজ কিশোরীকে খুঁজতে গাড়ি ভাড়া চাইল পুলিশ

স্কুল থেকে মেয়ে বাড়ি না-ফেরায় রাতে নিখোঁজ ডায়েরি করতে থানায় গিয়েছিলেন মা। কিন্তু পুলিশ ওই মারীর অভিযোগ আমলে নেয়নি। উল্টো এক দিন পরে এফআইআর নিলেও মেয়েটিকে খুঁজে আনার জন্য টাকা দিতে হবে বলে দাবি করেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। ওই নারীর অভিযোগ, মেয়েকে খুঁজে দিতে গাড়ি ভাড়া বাবদ যে ব্যয় হবে তা পরিশোধ করতে হবে।

Advertisement

এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। তবে বিষ্ণুপুর থানা পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ নেয়ার চার দিন পেরিয়ে গেলেও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলছে, বুধবার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার পর আর ফেরেনি। পরে ওই কিশোরীর মা রাতে বিষ্ণুপুর থানার দ্বারস্থ হন। সবকিছু জানানোর পরও রাতে কোনো অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি পুলিশ। নিরুপায় হয়ে স্বেচ্ছাসেবী ওই সংস্থার কাছে যান নিখোঁজ কিশোরীর মা। পরের দিন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা থানায় যাওয়ার পর পুলিশ এফআইআর নেয়।

আরও পড়ুন : মুসলিম নারীদের গণধর্ষণ করতে বিজেপি নেত্রীর আহ্বান

Advertisement

স্বেচ্ছাসেবী ওই সংস্থা বলছে, ১৪ বছর বয়সী নিখোঁজ হওয়ার পর অপহরণের মামলা রুজু করে সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করাই নিয়ম। কিন্তু পাঁচ দিনেও ওই কিশোরীর কোনো খোঁজ করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো শনিবার থানায় গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও কিশোরীর মাকে জানান, মেয়েকে খুঁজে এনে দিতে গেলে টাকা লাগবে।

সংস্থাটি বলছে, তারা একটি সূত্রে খবর পেয়েছে, মেয়েটি এখন কলকাতায় আছে। কিন্তু পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আনার ব্যবস্থা করেনি। উল্টো টাকা দাবি করায় তারা রীতিমতো শঙ্কিত। তাদের অভিযোগ, সংস্থাটির সদস্যরা কিশোরীর মাকে নিয়ে শনিবার বিষ্ণুপুর থানার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু থানা থেকে জানানো হয়, তিনি দেখা করতে পারবেন না।

আরও পড়ুন : পার্লারের নামে অবৈধ কর্মকাণ্ড, অভিযান চালিয়ে আটক ৩৫

নিখোঁজ কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ‘আমাদের বলা হয়, ২ জুলাইয়ের আগে কিছু করা সম্ভব নয়। থানায় লোক কম। আরো অনেক কাজ আছে পুলিশের।’ পরে সেকেন্ড অফিসারের কাছে গেলে তিনিও কোনো কথা বলতে রাজি হননি। পুলিশের ধমক খেয়ে নিখোঁজ কিশোরীর মাকে খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয়েছে। আনন্দবাজার। এসআইএস/এমকেএইচ

Advertisement