দেশজুড়ে

অস্তিত্ব সংকটে ঠাকুরগাঁওয়ের পাট ক্রয়কেন্দ্র

পাটের জীবন রহস্য উদঘাটন করা হলেও বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) আওতাধীন ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া ইউনিয়নের একমাত্র পাট ক্রয়কেন্দ্র করিম জুট মিলস লিমিটেডের অস্তিত্ব আজ হুমকির মুখে। দীর্ঘদিনেও এ ক্রয়কেন্দ্রের গুদাম ঘর, অফিস ঘর, আবাসিক কক্ষ ও সীমানা প্রাচীর সংস্কার না করায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি গুদামের মূল্যবান টিন, খুঁটি ও প্রেসের (পাট বান্ডিল করা মেশিন) মালামাল চুরি হয়ে গেছে।জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলায় এক সময় পাটের বাম্পার ফলন হতো। এ জেলার কৃষক অনেক আগ্রহের সঙ্গে পাট চাষ করতো। এ আগ্রহের ভিত্তিতে এ জেলায় দুটি পাট ক্রয়কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এগুলো হলো সদর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকার প্লাটিনাম জুবলী এবং রুহিয়ার আদমজী জুট মিলস। পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে এ কেন্দ্র দুটি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বিজেএমসি পরিচালিত আদমজী জুট মিলের ক্রয়কেন্দ্রটি করিম জুট মিলস লিমিটেড এর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এদিকে পাট ক্রয়কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবং এর উৎপাদন খরচসহ যাবতীয় খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষক পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। বর্তমানে রুহিয়া করিম জুট মিলস লিমিটেডের ক্রয়কেন্দ্রে পাট ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছর এ কেন্দ্রে ব্যাপক পাট ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক পাট কেনাও হয়েছে।এ সকল ব্যাপারে রুহিয়া পাট শ্রমিক সমিতির সভাপতি মকশেদ আলী জাগো নিউজকে জানান, আমরাও চেষ্টা করছি যাতে করে সকল সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়।কিন্তু গুদাম ঘর, কর্মকর্তা কর্মচারীদের আবাসিক কক্ষ, অফিস কক্ষ দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় কর্তৃপক্ষ বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে অফিস ঘর না থাকায় কর্মকর্তাদের আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। এখানকার প্রেস মেশিনের যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এদিকে এ কেন্দ্র থেকে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি না পাওয়ায় তাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। শুধু তাই নয়, এখানকার ব্যবসায়ীদের মধ্যেও একই হতাশা দেখা দিয়েছে।কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবসায়ীদের প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন এখানকার কর্মকর্তারা। কবে নাগাদ এ টাকা পরিশোধ করা হবে এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা শঙ্কায় রয়েছেন।এ ব্যাপারে রুহিয়া করিম জুট মিলস লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জাগো নিউজকে জানান, বর্তমানে পাট ক্রয়কেন্দ্রটির অবস্থা ভালো নয়। বকেয়া টাকা নিয়ে আমরা চিন্তিত। ব্যবসায়ীরা সব সময় টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। তিনি আরো জানান, আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সব সমস্যার সমাধান করতে।রবিউল এহসান রিপন/এসএস/আরআইপি

Advertisement