দেশজুড়ে

রিফাতের জন্য রাস্তায় দাঁড়াল ছাত্রলীগ

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

Advertisement

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বরগুনা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে জেলা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. রইসুল আলম রিপন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাবুদ্দীন সাবু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের আদনান অনিক, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হোসাইন, সহ-সভাপতি ইলিয়াস আকন, আনিসুজ্জামান তুহিন, সিরাজ মাহমুদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ হোসেন সোহাগ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ বরগুনার সাধারণ মানুষ। তাদের কারণে আতঙ্কিত বরগুনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের মাদক ব্যবসার কারণে বিপথগামী হচ্ছে বরগুনার তরুণ-তরুণীরা। এসব কারণে গত বছর নয়নের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগ। সেই সংবাদ সম্মেলনের সংবাদ দেশের প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরও নয়নের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার খবর আমরা পাইনি। বরং একাধিক মামলা ও ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলনের পরও নয়ন বরগুনায় বীরদর্পে ঘুরে বেরিয়েছে।

Advertisement

সমাবেশ থেকে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সবার উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে। তার বাবার নাম আ. হালিম দুলাল শরীফ। মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিলেন রিফাত।

ওই দিন সকাল ১০টার দিকে নয়নের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা রিফাতকে দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে যায়। এ সময় বারবার সন্ত্রাসীদের হাত থেকে স্বামীকে বাঁচাতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি।

একপর্যায়ে গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রিফাত মারা যান।

Advertisement

রিফাত শরীফকে হত্যার পরদিন ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলা করেন তার বাবা মো. আ. হালিম দুলাল শরীফ। মামলায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এ মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন বন্ড।

মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এএম/এমকেএইচ