ক্যাম্পাস

বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপিত

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। দেশসেরা এ বিদ্যাপীঠ আজ ৯৯ বছরে পা রাখছে। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার এরশাদের পতন থেকে ১/১১ এর সেনাসমর্থিত সরকারের কূটকৌশল থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এ প্রতিষ্ঠানটি।

Advertisement

সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মল চত্বরে কেক কেটে ও পতাকা উত্তোলন করে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীসহ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যে বার্তাটি আমাদের দেয় যখন ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব সেটি আমাদের জন্য গুরুত্ব বহন করে। মূলত সেটি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন করা হবে এবং সেটির নাম দেয়া হয়েছে মুজিববর্ষ ২০২০। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম জন্মবার্ষিকী যেদিন উদযাপিত হবে সেদিন প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান সুবর্ণজয়ন্তী। সেদিনগুলোর আগমনী বার্তা হিসেবে এ বছরের যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমাদের জন্য ২০২০-২১ এর একটি আগমনী বার্তা।

তিনি বলেন, আমরা এখন থেকে ধারণা করছি ২০২১ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেমন দেখতে চাই। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা কোথায় নিতে চাই তার একটি প্রত্যয় ব্যক্ত হবে ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের মধ্য দিয়ে। সে কারণেই এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এটিকে সামনে রেখে আমরা টার্গেট নির্ধারণ করব। প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তরণের উপায় কী কী সেগুলো আমরা খুঁজে বের করব।

এমএইচ/বিএ/এমকেএইচ

Advertisement