ক্যাম্পাস

ঢাবির কাছে যে প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর

আজ ১ জুলাই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল দিবস। ১৯২১ সালে এই দিনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’। দিবসটি উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসভায় দেশমাতৃকার উজ্জ্বল প্রতিনিধি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘বিশ্বায়নের এ যুগে নবতর উদ্ভাবনের সঙ্গে পরিচিতি ঘটানো, গবেষণার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা। মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদান এবং গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে আরও বেশি করে অবদান রাখবে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ নিরন্তর উন্নয়ন অভিযাত্রার সমার্থক এক নাম। বিশ্বমানের মেধা লালনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের পথে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা এই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সহযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাকে অনিবার্যভাবেই মানসম্মত হতে হয়; মানহীন শিক্ষা অজ্ঞতারই নামান্তর। শিক্ষার কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা বিশেষভাবে প্রশংসার দাবিদার।’

তিনি বলেন, ‘মননশীলতার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিনির্মাণ, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে অব্যাহতভাবে অবদান রেখে চলেছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয় ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণে কাঙিক্ষত লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে – এটাই প্রত্যাশিত।’

Advertisement

এফএইচএস/জেডএ/এমকেএইচ