আন্তর্জাতিক

ভেসে যাওয়া স্বামী-সন্তানের মরদেহের প্রতীক্ষা

মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া স্বামী-সন্তানের মরদেহ এখনও পাননি তিনি। মধ্য আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলীয় দেশ এল সালভাদরের ওই নারীর স্বামী অস্কার মার্টিনেজ এবং তার দুই বছর বয়সী মেয়ে অ্যাঞ্জি ভ্যালেরিয়ার নিথর মরদেহের কথা সবার জানা।

Advertisement

যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তের রিও গ্রান্দ্রে নদীর স্রোতে ভেসে যাওয়া ওই বাবা-মেয়ের উপুড় হয়ে থাকা মরদেহ দুটির ছবি তোলেন মেক্সিকোর এক আলোকচিত্রী। ওই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোও গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিতে চেয়েছিলেন মার্টিনেজ। কিন্তু মাঝ নদীতে মেয়েকে নিয়ে পড়ে যান। চোখের সামনে স্বামী-সন্তানকে ভেসে যেতে দেখলেও কিছু করতে পারেননি তার স্ত্রী তানিয়া ভেনেসা। ঘটনার পর দেশে ফিরে যান তিনি।

স্বামী আর মেয়েকে সমাহিত করতে দেশে ফিরে প্রিয় স্বামী-সন্তানের মরদেহের জন্য প্রতীক্ষা করছেন কিন্তু এখনও পাননি। তার দেশের সরকার জানিয়েছে, মেক্সিকো থেকে স্থলপথে মার্টিনেজ এবং ভ্যালেরিয়ার মরদেহ স্থানীয় সময় রোববার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

Advertisement

অস্কার মার্টিনেজের বয়স হয়েছিল ২৫ বছর। তার স্ত্রী তানিয়া ভেনেসার ২৩ বছর। তিন বছর আগে বিয়ে করা তরুণ ওই দম্পতির দুই বছর বয়সী মেয়ে অ্যাঞ্জি ভ্যালেরিয়া। বাবার কালো টি-শার্টের সঙ্গে নদীতে ভেসে থাকা ভ্যালেরিয়ার ছবি দেখে আরেকটি ছবির কথা মনে পড়ে। সে ছবিও কাঁদিয়েছিল বিশ্বকে।

ভ্যালেরিয়ার মতো পরিণতি হয় সিরিয়ান শরণার্থী শিশু আয়লান কুর্দির। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া থেকে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিল ৩ বছর বয়সী আয়লান কুর্দি আর তার পাঁচ বছর বয়সী ভাই। কিন্তু বিশাল ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে পারেনি তারা। সাগরের বালিতে ভেসে থাকা মরদেহর ওই ছবি তখন বিশ্বব্যাপী মার্কিনবিরোধী সমালোচনার ঝড় তুলেছিল।

এসএ/এমএসএইচ

Advertisement