আন্তর্জাতিক

বিমানের গতিতে চলবে চীনের ভাসমান ট্রেন!

প্রযুক্তিতে সব সময় গোটা বিশ্বে এগিয়ে আছে চীন। তারা কিছুদিন আগেই একটি ট্রেন তৈরি করেছিল যেটি ঘণ্টায় ৪৩১ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম। এবার তারা তৈরি করেছে নতুন আরেকটি ট্রেন। যার গতি হবে ঘণ্টায় ৬০০ কিলোমিটারেরও বেশি।

Advertisement

বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এশিয়া টাইমস জানিয়েছে, ম্যাগলেভ প্রযুক্তিতে তৈরি এই ট্রেনে ব্যবহার করা হয়েছে শক্তিশালী ইলেক্ট্রোম্যাগনেট। এমন প্রযুক্তির কারণে ট্রেনের দুটি লাইনের একটি ট্রেনটিকে লাইনের ওপরে তুলে হালকা করবে। তাই গতি পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ।

চাকা এবং রেললাইনের ঘর্ষণজনিত সমস্যা এড়িয়ে এবং শব্দ ও কম্পনহীনভাবে প্রচলিত ট্রেনের চেয়ে এই ম্যাগলেভ ট্রেন আরও দ্রুতগতিতে চলতে সক্ষম বলে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ম্যাগনেটিভ লেভিটেশন প্রযুক্তিতে তৈরি ম্যাগলেভ ট্রেনের জন্য বিশ্বে বিশেষভাবে পরিচিত চীন। বুলেটের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে এই ট্রেন। ম্যাগলেভ প্রযুক্তির কারণে এ ধরনের ট্রেন বাতাসে ভাসমান থাকে এবং সামনের দিকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যায়।

Advertisement

বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম ম্যাগলেভ ট্রেনের তকমা আগেই পেয়েছে চিন। বিশেষত গতির জন্য বিখ্যাত সাংঘাই ম্যাগলেভ। সম্মুখ ছুঁচালো আর ছাই রঙা ‘শরীর’ নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে ছুটে চলেছে এটি। চীনের পুডোং শহর থেকে সাংঘাই সিটি সেন্টার পর‌্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় সাংঘাই ম্যাগলেভ।

বর্তমানে বেইজিং-সাংহাই রেলপথে বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫০ কিলোমিটার। চার ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে এক হাজার ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় এই ট্রেন। এ ছাড়া চীনের হুনান প্রদেশের ঝেংঝো থেকে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংজু প্রদেশ পর্যন্ত ঘণ্টায় ৩৮০ কিলোমিটার বেগে চলে হাইস্পিড ট্রেন।

দ্রুতগতির ম্যাগলেভ প্রযুক্তি নিয়ে শুধু চীন নয় জাপানও বেশ এগিয়ে। মূলত জাপান এই প্রযুক্তির অন্যতম পথ প্রদর্শক। ২০১৫ সালে ঘণ্টায় ৬০৩ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম ট্রেন তৈরি করে বিশ্বরেকর্ড করেছিল দেশটি। রাজধানী টোকিও থেকে নাগোয়া পর্যন্ত আবারও ম্যাগলেভ লাইন তৈরি করছে তারা। তবে সেটি চালু হবে ২০২৭ সালে।

এসএ/এমকেএইচ

Advertisement