নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় রুপেলা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা ধর্ষণের পর গৃহবধূর মাথায় তালের লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
শনিবার রাতে উপজেলার পাড়ইল ইউনিয়নের পানিশাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুপেলা বেগম ওই গ্রামের আনিছুর রহমানের স্ত্রী। রোববার বেলা ১১টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রুপেলা বেগমের দুই ছেলে-মেয়ে। স্বামী আনিছুর রহমান ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি দিঘীপাড়ায় থাকতেন গৃহবধূ রুপেলা। শনিবার রাতের খাবার খাওয়ার পর ছেলে-মেয়ে পাশের ঘরে এবং রুপেলা নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হওয়ায় মাকে ডাকতে যায় ছেলে রাজু আহমেদ (১৪)। ঘরে ঢুকে মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে চিৎকার দিয়ে কান্না শুরু করে রাজু। পরে থানা পুলিশে খবর দিলে বেলা ১১টার দিকে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
গৃহবধুর ছেলে রাজু আহমেদ জানায়, রাত ১১টার দিকে আমি পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ি। তারপর আর কিছু বলতে পারব না। সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে মায়ের ঘরে গিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। আমার মাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
নিয়ামতপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দুরুল হুদা বলেন, নিহত গৃহবধূর মাথার ডান পাশে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। যে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে তা ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে। ওই লাঠিতে রক্ত ও মাংস লেগে আছে। নিহত গৃহবধূর সন্তান ও প্রতিবেশীরা বিবস্ত্র অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়েছেন। পুলিশ যাওয়ার আগে মরদেহ কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন প্রতিবেশীরা।
এসআই দুরুল হুদা আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর মাথায় আঘাত করে গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
আব্বাস আলী/এএম/এমএস
Advertisement