দেশজুড়ে

নারায়ণগঞ্জ মাস্তানদের বসবাসের জায়গা না : এসপি হারুন

নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদ বলেছেন, অরাজকতা করার জায়গা নারায়ণগঞ্জ নয়। নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের আশ্রয়স্থল। এখানে ব্যবসায়ীরা বসবাস করবে। নারায়ণগঞ্জ কোনো মাস্তানদের বসবাসের জায়গা না। কোনো মাস্তান জোর করে ফ্ল্যাট দখল করে রাখবে, কোনো মাস্তান জোর করে মানুষের জমি দখল করে রাখবে এটা আমরা করতে দিতে পারি না। তাকে আইনের আওতায় অবশ্যই আনবো।

Advertisement

রোববার দুপুরে শহরের মীরজুমলা সড়ক পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে নারায়ণগঞ্জ শহরের মীরজুমলা সড়কটি দোকান ও ময়লা আবর্জনায় ভরপুর ছিল। পরবর্তীতে বিষয়টি পুলিশ সুপারের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সড়কটি দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

এসপি হারুন আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে, মাদকেসেবীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং থাকবে। এখন কিন্তু ভূমিদুস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসছে না। যদি কোনো ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে কিংবা কোনো ফ্ল্যাট দখলদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Advertisement

তিনি বলেন, আমরা এখন চাষাঢ়া থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত পরিষ্কার করবো। রাস্তার দুইপাশে অবৈধ পার্কিং এবং দখলদার মুক্ত করবো। এরপর পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি পরিষ্কার করার চেষ্টা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে জনসাধারণকে স্বস্তি দেয়া। কাউকে ক্ষতি করা কিংবা কাউকে পরোক্ষভাবে হেয় করা আমাদের উদ্দেশ্য না। আমরা জনসাধারণকে সেবা দিতে চাই। আমরা সেবার মানসিকতা নিয়েই কাজ করছি।

মীরজুমলা সড়ক সম্পর্কে এসপি হারুন বলেন, মীরজুমলা নামে একটি বড় রাস্তা আছে, বাস ট্রাক চলাচল করতে পারে সেটা আমি নিজেও জানতাম না। আমরা যখন জানলাম এই রাস্তার দুই পাশে দোকান বসিয়ে কিছু লোক চাঁদা তোলে, তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি। রাস্তায় দোকনপাট বসানো যাবে না। দোকানপাট বসানোর জন্য ভেতরে জায়গা রয়েছে। তারপরেও যদি রাস্তায় মাল নামানোর প্রয়োজন হয়ে থাকে তাহলে রাত ১টার পর মাল নামাতে পারবে। যেটা কারওয়ান বাজারে হয়ে থাকে। কিন্তু দিনের বেলা রাস্তায় দোকান বসানো কিংবা মাল নামানো যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা মেয়য় ও জনপ্রতিনিধিদেরকে বলবো হকারদের জন্য একটি মাঠের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য। যাতে তারা সেখানে বসে ব্যবসা করতে পারে। আমরা হকারদের বিরুদ্ধে না, আমরা চাই জনসাধারণ যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে। এখন আর কোনো ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাচ্ছি না। এজন্য জনপ্রতিনিধিদেরকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোহাম্মদ নুরে আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এহতেশামুল হক, সিটি কর্পোরেশনের ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ওসি কামরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন ও ডিআইও-২ মো. সাজ্জাদ রোমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

শাহাদাত হোসেন/আরএআর/এমএস