ধর্ম

‘জয় শ্রীরাম’ না বলায় বৃদ্ধের হাত-পা ভেঙে দিলো উগ্রপন্থীরা

ভারতে কোনোভাবেই থামছে না মুসলিম নির্যাতন। দেশটির ১৭তম লোকসভা নির্বাচনের পর পর সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর হত্যাসহ চরম অত্যাচার নির্যাতন চালানো হচ্ছে। এ নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছে না কিশোর যুবক বৃদ্ধসহ গাড়ি চালক পর্যন্তও।

Advertisement

ঝড়খণ্ডের অধিবাসী সংখ্যালঘু মসলিম তাবরিজ আনসারির রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই আবারো শুরু হয়েছে মুসলিম নির্যাতন। উগ্রপন্থী হিন্দুদের হাত থেকে রেহাই পায়নি ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। খবর বাসিরাত অনলাইন।

গত শুক্রবার (২৮ জুন) গুজরাটে ‘জয় শ্রী রাম’ না বলায় ৭০ বছরের এক বৃদ্ধকেও ছাড়লো না উগ্রবাদী একদল হিন্দু। তারা পিটিয়ে বৃদ্ধের হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে।

জানা যায়, গুজরাটে ৭০ বছরের এ বৃদ্ধ রাস্তা ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথে কয়েকজন যুবক তার পথরোধ করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে বলপ্রয়োগ করে। এ বৃদ্ধ জয় শ্রীরাম স্লোগান না দেয়ায় তারা এ বৃদ্ধকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে রাস্তায় ফেলে রাখে। রাস্তায় পড়ে থাকা এ বৃদ্ধকে কয়েকজন মুসলিম উদ্ধার করে হাসপাতালেনিয়ে যায়।।

Advertisement

আরও পড়ুন > ভুল ঈদ পালনে ১৬০ কোটি রিয়াল কাফফারা সৌদির!

এদিকে পৃথক ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের কিদওয়াই নগরে আক্রমণের শিকার হন মোহাম্মদ তাজ নামে ১৬ বছরের এক কিশোর। শুক্রবার জুমআর নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কিদওয়াই নগরে আসলে কয়েকজন যুবক তার পথরোধ করে।

উগ্রপন্থীরা তাজের টুপি খুলে ফেলে দেয় এবং তাকেও জয় শ্রীরাম বলতে জোর প্রয়োগ করে। জয় শ্রীরাম বলতে অস্বীকার করায় তাকেও বেধড়ক পিটানো হয়।

মহারাষ্ট্রেও ঘটে এমন ঘটনা। যা ভারতে মহামারী আকার ধারণ করছে। মহারাষ্ট্রে এক ট্যাক্সি চালককে আক্রমণ করে উগ্রপন্থী একদল হিন্দু। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে পুলিশ আটক করে।

Advertisement

আরও পড়ুন > রোজা রাখায় চীনে মুসলিম নির্যাতন!

ঝাড়খণ্ডের তাবরিজ আনসারির নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে সারা বিশ্ব স্তব্ধ। এর পরেও থেমে নেই ভারতে মুসলিম নির্যাতন। প্রতিদিনই দেশটির কোথাও না কোথাও মুসলিম নির্যাতনের নৃশংসা ঘটনা ঘটেই চলেছে।

ভারতে মুসলিম নির্যাতন বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

ভারতে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপকভাবে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এক সংগঠন ভারত সরকারকে মুসলিম হত্যা ও নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানান। ভারতসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ করছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।

এমএমএস/জেআইএম