দেশজুড়ে

ছয়দিনেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নেই, নিশ্চুপ রেল কর্মকর্তারা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বরমচাল এলাকায় গত ২৩ জুন (রোববার) দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আন্তনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন। ঘটনাস্থলেই নিহত হন চারজন। আহত হন শতাধিক যাত্রী। এ ঘটনার পরের দিন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের ঘোষণা দেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন। এ দুই তদন্ত কমিটিকে ঘটনার দিন হতে (২৩ জুন) তিন কার্যদিবসের মধ্যে (২৬ জুন) তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু ছয়দিনেও তদন্ত কমিটির অগ্রগতি সর্ম্পকে জানা যায়নি। মুখ খুলছেন না রেল কর্মকর্তারা।

Advertisement

পৃথক দুটি তদন্ত কমিটির একটি আঞ্চলিক প্রধান পর্যায়ের তদন্ত কমিটিতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পূর্ব) আব্দুল জলিল, চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট (সিওপিএস) সুজিত কুমার, চিফ সিগনাল অ্যান্ড টেলিকম অফিসার (পূর্ব) ময়নুল ইসলামকে রাখা হয়েছে।

আর বিভাগীয় কর্মকর্তা পর্যায়ের কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয় কমলাপুর স্টেশনের ডিটিও মো. ময়নুল ইসলামকে। এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- ডিএমই (পূর্ব) চট্টগ্রাম এর শাহ সুফী নূর মোহাম্মদ, কমলাপুরের ডিএমও ডা. আব্দুল আহাদ, ডিএসটিই আবু হেনা মোস্তফা আলম ও ডিইএন ঢাকা-২ আহসান জাবির।

এসব তদন্ত কমিটি ঘটনার ছয় দিনেও কোনো অগ্রগতি না জানাতে পারায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলের কর্মকর্তারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলছেন তারা।

Advertisement

গত তিনদিনে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সহকারী সচিব, উপসচিব থেকে শুরু করে তদন্ত কমিটির সদস্যের ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ ফোন রিসিভ করে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে একটু পরে ফোন দিতে বলে আর ফোন ধরছেন না। রেল কর্মকর্তাদের এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এড়িয়ে যাওয়াকে ইচ্ছাকৃত লুকোচুরি বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা।

স্থানীয় সাংবাদিক পান্না দত্ত জানান, ঘটনার পর থেকে বারবার বিভিন্ন পর্যায়ে ফোন দিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না। এতে পেশাগত কাজে বিঘ্ন ঘটছে, সেই সঙ্গে স্থানীয়রা জানতে পারছে না আসলে রেলে কী ঘটছে।

স্থানীয় আরেক সাংবাদিক এম এ কায়ুম জানান, সাধারণ জনগণ আমাদের কাছে তথ্য জানতে চায়, কিন্তু প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশ করতে চাইলেও রেলওয়ের বক্তব্য না পাওয়ায় সংবাদপূর্ণ হচ্ছে না। অপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করা যায় না।

এদিকে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে আঞ্চলিক পর্যায়ে তদন্ত কমিটির প্রধান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমানের দেখা মিলে ঘটনাস্থলে। তবে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ।

Advertisement

রিপন দে/আরএআর/জেআইএম