জাতীয়

আত্মহত্যার হারে দশম স্থানে বাংলাদেশ

বিশ্বে প্রতি বছর আট লক্ষেরও বেশি মানুষ নিজের জীবন শেষ করতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। আর বাংলাদেশ এ আত্মহত্যার হারে দশ নম্বরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা-নিরোধী দিবসের প্রাক্কালে হু-র প্রকাশিত রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানায়, প্রতি ৪০ সেকেন্ডে পৃথিবীর কোথাও না কোথাও একজন মানুষ আত্মহত্যা করে থাকেন। এছাড়াও আরো বহুগুণ মানুষ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন। সারা বিশ্বে যত আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে থাকে তার ৭৫ শতাংশ বা তিন-চতুর্থাংশই হয়ে থাকে নিম্ন বা মধ্য আয়ভুক্ত দেশগুলোতে। এই তালিকাতেই বাংলাদেশের স্থান দশ নম্বরে।আত্মহত্যার জন্য যে পদ্ধতিগুলোর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি সেগুলো হলো- কীটনাশক খাওয়া, ফাঁসিতে ঝোলা কিংবা আগ্নেয়াস্ত্রর ব্যবহার। সারা বিশ্বেই এই প্রবণতা একই রকম। বিশ্বে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যাই মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ। ২০১২ সালের পরিসংখ্যান অন্তত সে রকমই বলছে।আত্মহত্যাকে হু একটি গুরুতর জনস্বাস্থ্য সমস্যা বলে চিহ্নিত করেছে অনেক আগেই। তবে একই সঙ্গে তারা বলছে, ঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করে, ভালভাবে বুঝিয়ে এবং খুব কম খরচেই বেশির ভাগ আত্মহত্যা ঠেকানো সম্ভব।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগেই প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর দিনটিকে আত্মহত্যা নিরোধী দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে।এ বছর (২০১৫) ‘প্রিভেন্টিং সুইসাইড: রিচিং আউট অ্যান্ড সেভিং লাইভস’ থিমের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। অর্থাৎ যারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার ঝুঁকিতে আছেন তাদের কাছে আগেভাগে পৌঁছে গিয়ে সেই মূল্যবান জীবনগুলোকে রক্ষা করাই হবে আজকের দিনটির মূল উদ্দেশ্য।সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও আজকের দিনটি হু-র উদ্যোগে উদযাপন করছে।আরএস/আরআইপি

Advertisement