পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে বসেছে সেতুর আরও একটি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার)। শনিবার (২৯ জুন) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ১৫ ও ১৬ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ৩সি বসানো হয়। এতে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ সেতুর এক-তৃতীয়াংশ দৃশ্যমান হলো।
Advertisement
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এটি পদ্মা সেতুর চতুর্দশ স্প্যান। এই স্প্যানসহ পদ্মা সেতুতে স্থায়ীভাবে মোট ১২টি ও অস্থায়ীভাবে দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। সে হিসেবে ৩সি স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো দ্বাদশ স্প্যান।
শনিবার এ স্প্যান বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর মোট ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। জাজিরা প্রান্তে ৯টি স্প্যানের মাধ্যমে মোট ১ হাজার ৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তে তিনটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৬০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানোয় ১৫০ মিটার যোগ করে সেতুর মোট ২ হাজার ১০০ মিটার দৃশ্যমান হলো। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোয় দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয় বরং, বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।
এর আগে পিলারে বসানোর উদ্দেশে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে স্প্যান ৩সি রওনা দেয়। তবে পিলারের কাছে পলি জমে যাওয়ায় ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৃহস্পতিবার স্প্যানটি বসানো সম্ভব হয়নি।
Advertisement
পদ্মা সেতুর নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার 'তিয়ান ই' ভাসমান ক্রেন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রতিটি স্প্যান বহন করে। এরপর বসানো হয় পিলারের ওপর।
তারা জানান, পদ্মা সেতুতে দুই ধরনের স্প্যান বসবে। এর মধ্যে নদীর মধ্যে থাকা ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার)। যেগুলো মূলত স্টিলের এবং নদীর দুই পাড়ে থাকা ভায়াডাক্টের ওপর ৭টি করে ১৪টি রেলওয়ে স্প্যান এবং জাজিরা প্রান্তে ২৩৪টি সুপার-টি গার্ডার ও মাওয়া প্রান্তে ২০৪ টি সুপার-টি গার্ডার মিলিয়ে মোট ৪৩৮ টি সুপার-টি গার্ডার বসবে। এতে মোট রোডওয়ে স্প্যান হবে ৮৩টি। স্টিলের স্প্যান বা সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়েছে মোট ১৪টি।
অন্যদিকে রেলওয়ে গার্ডারের স্প্যান বসেছে ৭টি। তবে রোডওয়ে সুপার-টি গার্ডারের কোনো স্প্যান এখনও বসানো হয়নি।
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এমএমজেড/এমকেএইচ
Advertisement