দেশজুড়ে

ধর্ষণ মামলার পর প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন জসিম

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ধর্ষণ মামলার পর প্রেমিকাকে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছেন প্রেমিক জসিম উদ্দিন। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে গত ২০ জুন উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে প্রেমিক জসিম উদ্দিনসহ সাতজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন ওই তরুণী। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই জসিম উদ্দিনের নানা বৃদ্ধ দুদু মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

Advertisement

এরপর ২১ জুন রাতে ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে প্রেমিকাকে বিয়ে করে ঘর সংসার শুরু করেন জসিম উদ্দিন। বিয়ের মাধ্যমে নবদম্পতি তাদের সমস্যার ইতি টানলেও মামলার নিষ্পত্তি টানতে সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) ও আইনজীবীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মামলার বাদী ওই তরুণী।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে ওই তরুণী জানান, আমি জসিমকে বিয়ে করে ঘর সংসার করতে চেয়েছিলাম। জসিম ও তার পরিবার রাজি না হওয়ায় আমাকে মামলার আশ্রয় নিতে হয়। মামলার পর জসিম বিয়েতে রাজি হওয়ায় থানা পুলিশ, উভয় পরিবারে লোকজন এবং গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমরা ৬ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করি। তবে এখন আমি মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য পুলিশ ও আইনজীবীর দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। একই মুঠোফোনে জসিম উদ্দিনও বিয়ের কথা স্বীকার করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজগর আলী জানান, উভয় পরিবারের লোকজন ও মাতব্বরদের উপস্থিতিতে ওই বিয়ের রেজিস্ট্রি ও মৌলভী দ্বারা বিয়ে পড়ানো হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি জসিমের বাড়িতে আছে এবং সংসার করছে।

Advertisement

বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে সখীপুর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির জানান, মেয়েটি মামলা নিষ্পত্তির ব্যাপারে থানায় আসলেও তাকে মামলাটি আইনি প্রক্রিয়াই শেষ হবে বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সখীপুর উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী আলম মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন দুই বছর আগে চাকরি নিয়ে মালদ্বীপ যান। এরই মধ্যে ওই তরুণীর সঙ্গে প্রবাসী জসিম উদ্দিনের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এরপর থেকে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৫ মে ছুটিতে জসীম উদ্দিন মালদ্বীপ থেকে দেশে ফিরেই প্রেমিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে বিয়ের আয়োজন করার কথা বলে জসিম উদ্দিন বাড়ি চলে আসে এবং ওই তরুণীর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় গত ২০ জুন রাতে তার ওই তরুণী সখীপুর থানায় প্রেমিক জসিমসহ সাতজনের নামে ধর্ষণ মামলা করেন।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/জেআইএম

Advertisement