ফ্রান্সসহ গোটা ইউরোপজুড়ে তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে। ফ্রান্সের আগের যে রেকর্ড ছিল তার থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে ইউরোপের আরেক দেশ স্পেনে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে দাবানল। দেশটির দমকলকর্মীরা দাবানল প্রশমনে নিরলস কাজ করলেও পাত্তা পাচ্ছেন না।
Advertisement
ফ্রান্সের জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা মেট-ফ্রান্স বলছে, দেশটির গার্ড বিভাগের গ্যালারগেস মনটুয়েক্স অঞ্চলে স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে ৪৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে।
দেশটিতে এর আগে সর্বোচ্চ তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছিল ২০০৩ সালে। সে সময় তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবারের এই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার আগেই ৪৪.৩ এবং ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দুইবার সেই রেকর্ড টপকে যায়।
ফ্রান্সের আবহাওয়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ ইতিন্নে কাপাকিয়ান ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘এটা ঐতিহাসিখ। এবারই প্রথম তাপমাত্র ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। যা এর আগে কখনোই হয়নি। আগে যেটা ছিল তা এরচেয়ে অনেক কম।’
Advertisement
এদিকে জার্মানির জাতীয় আবহাওয়া সংস্থা ডিডব্লিউডি জানিয়েছে, জুন মাসের সামগ্রিক তাপমাত্র বেড়েছে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এর আগের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ২০০৩ সালে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল তার চেয় দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়ার তাপমাত্র বেড়েছে এবার।
জেনেভায় অবস্থিত বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলছে, ২০১৯ সাল বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর। এ ছাড়া ২০১৫ থেকে ২০১৯ পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ বছরের তালিকায় সবার উপরে আছে। জাতিসংঘ বলছে, গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনের কারণে বিশ্ব যে দিন দিন উষ্ণ হয়ে যাচ্ছে তার প্রমাণ এটি।
জার্মান আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দেশটির তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৪৭ সালের জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ইতালির সাতটি শহরেও তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
গোটা ইউরোপ যেন পুড়ছে। সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও তাপমাত্রা রেকর্ড অতিক্রম করেছে। মহাদেশটির বেশিরভাগ দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এবার অনেক বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেই এমনটা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Advertisement
এসএ/জেআইএম