মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা ডা. রেনিন সোয়ে ওরফে রেনেজু মারমার তিনটি এবং তার স্ত্রী হ্লাচিং নু মারমার নামে একটি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে পুলিশ। বুধবার রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, ব্যাংক হিসাবগুলোতে যাবতীয় লেনদেন স্থগিত রাখতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে চিঠি দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালাতে সুবিধার জন্য এটা করা হয়েছে। ডা. রেনিন সোয়ের নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কাপ্তাই দোভাষী বাজার শাখায় একটি এবং ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক কাপ্তাই দোভাষী বাজার শাখায় দুইটি এবং তার স্ত্রী হ্লাচিং নু মারমার নামে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের রাজস্থলী শাখায় একটি হিসাব চালু রয়েছে। অস্বাভাবিক লেদেনের তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। তদন্তে বিস্তারিত পাওয়া যাবে।উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটির রাজস্থলীতে সুরম্য বাড়ি করে সামাজিক কর্মকাণ্ডের আড়ালে গত প্রায় দেড় দশক ধরে আরাকান আর্মির তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন দলটির শীর্ষ নেতা ডা. রেনিন সোয়ে ওরফে রেনেজু মারমা। মিয়ানমার থেকে রাজস্থলী এসেছিলেন ২০/২৫ বছর আগে। সেখানে স্থানীয় মেয়ে হ্লাচিং নু মারমাকে বিয়ে করেন।সম্প্রতি বান্দরবানের থানচির বড় মদকে বিজিবির একটি টহল দলের ওপর গুলি বর্ষণ করে আরাকান আর্মি হামলা চালালে গত ২৭ আগস্ট ডা. রেনিন সোয়ের রাঙ্গামাটির রাজস্থলীর সুরম্য বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। ওই সময় বাড়ি থেকে ঘোড়া, মোটরসাইকেল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, আরাকান আর্মির পোশাকসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম উদ্ধারসহ আরাকান আর্মির সদস্য অংনু ইয়ং রাখাইনকে আটক করা হয়। এর একদিন পর গত ২৮ আগস্ট বাড়ির ২ কেয়ারটেকার মংচ অং মারমা ও জচি অং মারমাকে আটক করে পুলিশ।এই ঘটনায় রাজস্থলী থানায় পৃথক দুইটি মামলা করে পুলিশ। একটি বিদেশি অনুপ্রবেশ আইনে এবং অন্যটি সন্ত্রাস দমন আইনে। মামলা দুটির মূল আসামি বাড়ির মালিক ও আরাকান আর্মির শীর্ষ নেতা ডা. রেনিন সোয়ে ওরফে রেনেজু মারমা পলাতক রয়েছেন। আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক তিনজনকে এখনও রাজস্থলী থানা পুলিশের হেফাজতে রিমান্ডে রাখা হয়েছে।গত সোমবার তৃতীয় দফায় আটক আরাকান আর্মির সক্রিয় সদস্য অংনু ইয়ং রাখাইন এবং বাড়ির অভিযুক্ত দুই কেয়ারটেকার মংচ অং মারমা ও জসি অং মারমার বিরুদ্ধে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অহিদ উল্ল্যাহ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।সুশীল প্রসাদ চাকমা/এআরএ/বিএ
Advertisement