জাতীয়

রাষ্ট্রপতি এবার হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি বছর হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। কিন্তু এবার তিনি দেশের বাইরে থাকায় হজ কার্যক্রম- ২০১৯ এর উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

Advertisement

আগামী ২ জুলাই দুপুর ২টায় রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন >> ১ জুলাই চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

আগামী ৪ জুলাই থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ ও ৫ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চারটি ফ্লাইটের যাত্রীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের ১ ও ২ জুলাই আশকোনা হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

বছর ঘুরে ফের হজ কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে আশকোনা হজ ক্যাম্পে এখন চলছে সাজ সাজ রব। আগামী ৩০ জুন হজ মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন হবে। পরের দিন থেকে হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের আগমন শুরু হবে।

চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাবেন। তাদের মধ্যে সাত হাজার ১৯৮ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং এক লাখ ২০ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করবেন।

গত ১৬ জুন থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে হজে গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং তাদের ইনফ্লুয়েঞ্জা ও ম্যানেনজাইটিস টিকা দেয়া হচ্ছে। গতকাল (২৭ জুন) বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭৭ হাজার ৭০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান সম্পন্ন হয়।

আরও পড়ুন >> প্রথম চার ফ্লাইটে সরকারি হজযাত্রী যারা

Advertisement

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অনলাইনে প্রথমবারের মতো ভিসা প্রদান শুরু করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৮০০ হজযাত্রীর ভিসা দেয়া হয়েছে।

প্রতি বছরের মতো এবারও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মোট হজযাত্রীর শতকরা ৫০ শতাংশ (৬৩ হাজার ৫৯৯ জন) পরিবহন করবে। বাকি ৫০ শতাংশ সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স পরিবহন করবে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ৩০৪টি ডেডিকেটেড ও ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট। ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত হজের আগে ১৮৯টি (ডেডিকেটেড ১৫৭ ও শিডিউল ৩২টি) এবং হজ-পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১৫টি ফ্লাইট (ডেডিকেটেড ৮৬ ও শিডিউল ২৯টি) পরিচালিত হবে। এসব ফ্লাইটের মধ্যে বাংলাদেশে থেকে মদিনা ১৮টি এবং মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি ফ্লাইট সরাসরি পরিচালিত হবে। এছাড়া চট্টগ্রামে ১৯টি ও সিলেট থেকে তিনটি ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুন >> হজের ‘টিকিটখেকো’ সানশাইনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা

প্রত্যেক হজযাত্রী দুটি লাগেজে ৪৬ কেজি ওজনের মালামাল এবং কেবিন লাগেজে সাত কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন।

চলতি বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি হজযাত্রীদের একটি বড় অংশের ইমিগ্রেশন (সৌদি আরব অংশের) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্পন্ন হবে। ফলে হজযাত্রীদের এবার জেদ্দা বিমানবন্দরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।

এমইউ/এমএআর/এমকেএইচ