অর্থনীতি

১৪ বছরেও বাড়েনি বিমানের আউট স্টেশনের কর্মকর্তাদের বাড়িভাড়া

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দেশে ও বিদেশে বাড়ি ভাড়া নীতি এক না হওয়ায় বেশকিছু কর্মকর্তা বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধছে।

Advertisement

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিদেশে বাংলাদেশ মিশন, সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত একজন গাড়িচালকের বেতনের অর্ধেক পান বিমানের কর্মকর্তারা।

লন্ডনের এক ম্যানেজার ২৩ জুন টেলিফোনে জাগো নিউজকে জানান, তিনি ৯শ’ পাউন্ড বাড়ি ভাড়া পান। কিন্ত এয়ারপোর্টে সংলগ্ন হ্যানস্লো এলাকায় দুই রুমের ছোট্ট একটি বাসা ভাড়া নিয়েছেন ১৬শ’ পাউন্ড ভাড়া দিয়ে। ঘাটতি ৭শ’ পাউন্ড।

আরও পড়ুন >> কাজ নেই তারপরও বিমানের উচ্চ বেতন-ভাতা পান তারা নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক বিমানের কাঠমান্ডু স্টেশনের এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৫ সালের জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় সে সময় বিমান ম্যানেজারদের জন্য বাড়িভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১২ হাজার টাকা। এরপর চলে গেছে ১৪টি বছর। তারপরও একটাকা বাড়ি ভাড়া বাড়ানো হয়নি।’ একই অবস্থা লন্ডন, দিল্লি, কলকাতা, সিঙ্গাপুর স্টেশনের ম্যানেজারদের।

Advertisement

বিমানের প্রশাসন এবং হিসাব শাখা সৃত্রে জানা গেছে, আউট স্টেশনে কর্মরত বিমান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল্যায়ন ও হালনাগাদ করার জন্যে একটি কমিটি রয়েছে। কমিটি প্রতি বছর আউট স্টেশনগুলোর জীবনযাত্রার মান বিবেচনা করে বাড়ি ভাড়ার পরিমাণ হালনাগাদ করার কথা।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কমিটির চেয়ারম্যান বিমান পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে জাগো নিউজ। তবে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

পরে এ বিষয়ে জানতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফাইন্যান্স কন্ট্রোলার মনজুর ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি সত্যি, জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় ২০০৫ সালের পর থেকে আউট স্টেশনে বাড়ি সমন্বয় করা হয়নি। আমি কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিচালক প্রশাসন স্যারের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলব এবং যথাদ্রুত সম্ভব মিটিং কল করার জন্য অনুরোধ জানাব।’

আরএম/এসআর/এমকেএইচ

Advertisement