মিশন এলাকায় সফররত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ গতকাল (বৃহস্পতিবার) মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর ফসটিন আরচেঞ্জ টোয়াডেরার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
Advertisement
সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা সে দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছে দেন।
মধ্য আফ্রিকার (সেন্ট্রাল আফ্রিকান) রাষ্ট্রপতি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে সে দেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোয় বাংলাদেশের নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি সে দেশের অবকাঠামোগত, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা এবং শিক্ষা খাতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সহায়তা কামনা করেন। বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব, মানবিক গুণাবলী ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
Advertisement
সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে আরও মেডিক্যাল ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট পাঠানোর আশ্বাস দেন। এ ছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের জনগণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিয়মিত ও দীর্ঘ মেয়াদি সহায়তার আশ্বাস দেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান মিনুস্কা ফোর্স সদর দফতরে পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। সেখানে তিনি মিনুস্কার এসআরএসজি ম্যানকিওর এনদিয়ায়েক এবং ফোর্স কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাল্লা কেইটার সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তারা উভয়ই সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত বাংলাদেশি কন্টিনজেন্টসমূহের সেনাসদস্যদের পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে পারদর্শিতা সম্পর্কে অত্যন্ত উঁচু মনোভাব প্রকাশ করেন।
এ সময় ফোর্স কমান্ডার মিশনে নিয়োজিত অন্যান্য দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেন। সেনাবাহিনী প্রধান তাকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন এবং বিপসটে অন্যান্য দেশের শান্তিরক্ষীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ সহায়তা প্রদানের প্রস্তাবনা দেন।
Advertisement
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এমইউ/এনডিএস/এমকেএইচ