ফ্রান্সের খুব পরিচিত এবং বিতর্কিত এক ইমাম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আটলান্টিক উপকূলের ব্রিস্ট শহরের একটি সুন্নী মসজিদে হামলার ঘটনায় ওই ইমাম ছাড়াও আরও একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। হামলা চালানোর পর হামলাকারীও নিহত হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রিস্টের একটি সুন্নী মসজিদের সামনে বেশ কয়েকবার গুলির শব্দ শোনা যায়। গোলাগুলিতে মসজিদের ইমাম রেচিড এলজে এবং আরও এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
প্রসিকিউটর জিন ফিলিপ রিক্যাপে বলেন, লোকজন মসজিদ থেকে আসরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় এক বন্দুকধারী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলিতে আহত দু'জনকেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে। দু'জনকে গুলি করার পরপরই গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই বন্দুকধারী। পরে তাকে কাছাকাছি একটি এলাকায় খুঁজে পায় পুলিশ। নিজের গাড়ির সামনে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ পড়েছিল।
Advertisement
ইমাম রেচিড এলজে নিজের কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকদিন ধরেই বিতর্কিত ছিলেন। তিনি আগে রেচিড আবু হুদেইফা নামেই পরিচিত ছিলেন। তিনি বেশ কিছু বিতর্কিত বিবৃতি এবং ভিডিও তৈরি করে সেগুলো অনলাইনে প্রকাশ করেন।
২০১৫ সালে ফ্রান্সে একটি সন্ত্রাসী সিরিজ হামলার ঘটনার পরপরই আলোচনায় আসেন এই ইমাম। ২০১২ সালের একটি ভিডিওতে তাকে শিশুদের উদ্দেশে বলতে শোনা যায় যে, যারা গান শুনতে পছন্দ করে আল্লাহ তাদের শূকর অথবা বানর বানিয়ে দেবেন। সে সময় তার ভিডিও চ্যানেলটির ফলোয়ার ছিল ৬৮ হাজার।
২০১৬ সালের এপ্রিলে তৎকালীন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওলাদে টেলিভিশনের এক ভাষণে বলেছিলেন, ব্রিস্ট মসজিদ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং এর ইমাম দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে জানা যায় যে, এই তথ্য সঠিক ছিল না।
পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ওলাদের বক্তব্যের জবাবে ওই ইমাম বলেন, ব্রিস্টের ইমাম কোন সন্ত্রাসী অপরাধ করেননি। সে কোন আইন ভাঙেনি। এরপর থেকেই জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কাছ থেকে হত্যার হুমকি আসতে থাকে।
Advertisement
ওই ইমামের বাড়ি এবং মসজিদ খুঁজেও কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই তিনি তার কাজকর্ম স্বাভাবিকভাবেই চালিয়ে যেতে থাকেন। বৃহস্পতিবার তার একটি ফেসবুক পেজে লাইকের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়।
টিটিএন/এমএস