আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছন, ‘জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করে স্বাধীনতাবিরোধী, খুনি, দালালদের বিচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তিনি ক্ষমতায় দখল করে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বানান। জাতির মধ্যে বিভাজন, বিভক্তি সৃষ্টি করেন। একটি ধারা স্বাধীতার পক্ষের মুক্তিযুদ্ধের ধারা আরেকটি পাকিস্তানি চেতনার ধারা। খালেদা জিয়া এসে এ পাকিস্তানি ভাবধারার নেতৃত্ব দেন।’
Advertisement
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
হানিফ বলেন, ‘সে সময় স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এসেছিল। কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ করে। ভারতের রতন টাটা বিনিয়োগের জন্য এসেছিলেন কিন্তু হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে ফিরে যান।’
হানিফ আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়টি মীমাংসিত বিষয়। সংসদে সেটাকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে মেজর জিয়াকে। মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণার পাঠক ছিলেন- এটা আমরা স্বীকার করি। তিনি জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে ব্যস্ত ছিলেন। অনেকটা জোর করে তাকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘জিয়া ছিলেন দ্বিতীয় পাঠক। প্রথমে এমএ হান্নান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। অথচ আজ তাকে নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এই জিয়াউর রহমান কখনও স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী ছিলেন না। তার কোনো কর্মকাণ্ডে এটা মনে হয়নি।’
এইচএস/এনডিএস/জেআইএম