ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ‘বিচারপতি মোস্তাফা কামাল স্বর্ণপদক’ প্রবর্তন করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মোস্তাফা কামালের ছেলে ড. নাশিদ কামাল ৫ লাখ টাকার একটি চেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: কামাল উদ্দীনের কাছে হস্তান্তর করেন।উপাচার্য দফতরে আয়োজিত এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন ব্যাপারী উপস্থিত ছিলেন। এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এমএসএস ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ‘বিচারপতি মোস্তাফা কামাল স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বর্ণপদক প্রবর্তনে আর্থিক অনুদানের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অনুদানের ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ায় আরো উৎসাহিত হবে। উল্লেখ্য, প্রয়াত মোস্তাফা কামাল ১৯৯৯ সালের ১ জুন থেকে ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি ১৯৩৫ সালে নীলফামারী জেলার ডোমারে জন্মগ্রহণ করেন। উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী আব্বাস উদ্দিন আহমেদের বড় ছেলে তিনি। বিচারপতি মোস্তাফা কামাল ১৯৪৮ সালের মেট্রিক পরীক্ষায় ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৭ম স্থান অধিকার করেন। তাছাড়া, ১৯৫০ সালের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় তিনি জগন্নাথ কলেজ থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ৫ম স্থান অধিকার করেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৫৩ সালের বিএ সম্মান এবং ১৯৫৪ সালের এমএ পরীক্ষায় ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকার করেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের উচ্চশিক্ষা বৃত্তি নিয়ে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স থেকে তিনি অর্থনীতিতে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৯ সালে তিনি বার এট ল’ কোর্স সম্পন্ন করেন। বিচারপতি মোস্তাফা কামাল ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর ল’ কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। এমএইচ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement