পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে নিজ গ্রামের সাত প্রার্থীর জন্য সুপারিশ করেছেন ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন।
Advertisement
এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। গত ২২ জুন পুলিশ সুপার বরাবর করা তার স্বাক্ষরিত সুপারিশপত্রটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এরপর তা নিয়ে অনেকেই নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
আরও পড়ুন> কনস্টেবল নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখার নির্দেশ
পুলিশ সুপার বরাবর করা ওই সুপারিশপত্রে মোট ১১ জনের জন্য সুপারিশ করেন বজলুল হক হারুন। গত ২২ জুন তিনি তার সংসদ সদস্যের প্যাডে পুলিশ সুপারের উদ্দেশে লেখেন, ‘ঝালকাঠি জেলার পুলিশ বিভাগে আপনার অধীনে পুলিশ কনস্টেবল (পুরুষ এবং মহিলা) পদে ২৪/০৬/২০১৯ ইং তারিখে কিছুসংখ্যক লোক নিয়োগ করা হবে। উক্ত পদের জন্য আমার নির্বাচনী এলাকার (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) তালিকা দেয়া হলো। নিম্নলিখিত প্রার্থীদের পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হলো।’
Advertisement
ওই সুপারিশপত্রে রাজাপুর উপজেলার নয়জন ও কাঁঠালিয়া উপজেলার দুজনের নাম রয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে বিশেষভাবে টিক চিহ্নিতও করা হয়েছে। তালিকায় নাম থাকা রাজাপুর উপজেলার নয়জন প্রার্থীর মধ্যে সাত প্রার্থীর বাড়ি এমপি হারুনের নিজ গ্রাম গালুয়ায়।
আরও পড়ুন> 'চাকরি পাইয়ে দেয়া'দের বিরুদ্ধে হার্ডলাইনে কিশোরগঞ্জের এসপি
এ বিষয়ে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন বলেন, ‘জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি সুপারিশ করতেই পারি। আমার কাছে যেই আসে তাকেই আমি ডিও লেটার দিই, যাতে সে চাকরি পায়। এক্ষেত্রে আমি কারও কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা নিয়েছি কি-না সেটি দেখার বিষয়। এটি নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন না।’
উল্লেখ্য, গত ২৪ জুন ঝালকাঠিতে পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় দালাল এবং আর্থিক লেনদেন (ঘুষবাণিজ্য) ঠেকাতে ২২ জুন বিকেলে জেলার চার উপজেলায় মাইকিং করে নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) ফাতিহা ইয়াসমিন। এ সময় ব্যাংকের ট্রেজারি চালানে ১৩০ টাকার বাইরে কাউকে লেনদেন না করার জন্য অনুরোধ করেন এসপি। ২০ জুন বৃহস্পতিবার ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন।
Advertisement
মো. আতিকুর রহমান/এমবিআর/এমকেএইচ