বার্মিংহ্যামের হোটেল 'হায়াত রিজেন্সি'র সামনে রাজ্যের ব্যস্ততা। কেউ বাক্স-পেটরা গুছিয়ে হোটেল ছাড়ছেন, কেউবা উঠছেন। একটি দল হলো নিউজিল্যান্ড, আরেক দল বাংলাদেশ।
Advertisement
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা উঠেছিলেন হোটেল 'হায়াত রিজেন্সি'তে। ম্যাচ শেষ, হারের স্বাদ নিতে হয়েছে কিউইদের। কিন্তু সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখা কিউইরা সেটা নিয়ে বোধহয় খুব একটা চিন্তিত নয়। বেশ ফুরফুরেই দেখা গেল তাদের।
সেই ফুরফুরে থাকার পেছনে অবশ্য আরেকটি কারণ আছে। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা যে প্রায় সবাই সস্ত্রীক-পরিবারসহ হোটেলে উঠেছিলেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্টে পরিবার-পরিজনকে কাছে পাওয়াটা তাদের জন্য বিরাট এক স্বস্তির ব্যাপার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড সেই সুযোগটা করে দিয়েছে।
অথচ বাংলাদেশের মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, রিয়াদদের সস্ত্রীক বিশ্বকাপ খেলতে আসা নিয়ে কেউ কেউ কটূক্তি করেছেন, বাঁকা চোখেও তাকিয়েছেন। কেউ কেউ তো এমনটাও বলছেন, পরিবার নিয়ে খেলতে গেলে খেলায় মনোযোগ দেবে কি করে!
Advertisement
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে হোটেল ছাড়ার ভিডিওটি দেখলে তাদের সে ভুল ভেঙে যাবে। কিউইদের ১৫ জন ক্রিকেটারের যারা বিবাহিত, তাদের প্রায় প্রত্যেকেই এসেছেন সস্ত্রীক ছেলে-মেয়েসহ। তাই বলে কি তারা মাঠে খারাপ করছেন? না, বরং উল্টো উজ্জীবিত হয়েই লড়ছেন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা পাঁচ তারকা হোটেল 'হায়াত রিজেন্সি' ছেড়ে যাচ্ছেন নতুন গন্তব্যে। তাদের আগামী ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লন্ডনে।
আর কিউইদের ছেড়ে দেয়া এই হোটেলেই উঠেছে বাংলাদেশ দল। টাইগারদের পরবর্তী ম্যাচ এই বার্মিংহ্যামেই, শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। তবে ২ জুলাই ম্যাচের আগে বেশ অনেকটা বিরতি আছে। তাই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের পাঁচদিন ছুটি দেয়া হয়েছে।
সেই ছুটিতে সাকিব, তামিম, লিটন, মোসাদ্দেকসহ বেশিরভাগ ক্রিকেটারই চলে গেছেন লন্ডনে। পাঁচ-ছয়জন উঠেছেন বার্মিংহ্যামের হোটেল 'হায়াত রিজেন্সি'তে। তবে তারাও থাকবেন ছুটির আমেজেই। পারবেন হোটেল থেকে বাইরে ঘুরতে বের হতেও।
Advertisement
এআরবি/এমএমআর/এমকেএইচ