জাতীয়

রাজউক বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবছি : পূর্তমন্ত্রী

রাজউককে জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও দীর্ঘসূত্রিতামুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবছি বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম।

Advertisement

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার রাজউক সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

পূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রাজউককে জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও দীর্ঘসূত্রিতামুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব। রাজউককে আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা ভাবছি। এত বড় ঢাকায় একটি রাজউকে বসে সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজউকের সব জোনকে শক্তিশালী করতে চাই। স্তরভিত্তিক পরিসর বাড়ার কারণে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিবেন্দ্রীকরণের পক্ষে। এটা তিনি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছেন। অদূর ভবিষ্যতে রাজউকের কেন্দ্রীকতা বিকেন্দ্রীকতায় পরিণত হবে, যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে।’

গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রাজউককে আমরা একটা ইমেজপূর্ণ জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। রাজউকের ভেতরে অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিকভাবে কাজ করছে, কিন্তু একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্য রাজউককে বদনামের বোঝা কাঁধে নিতে হয়। দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিল থেকে শুরু করে সব নির্মাণ তখনই ঢাকা পড়ে যায় যখনই বালিশ কেলেঙ্কারির বোঝা আমাদের মাথায় নিতে হয়। যাদের ভুল আছে তাদের শোধরানোর জন্য বারবার বলছি। যে শোধরাবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে মন্ত্রণালয়, রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদফতর থেকে শুরু করে একটা প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মচারী অন্যায়ভাবে হয়রানি হোক-এটা আমি চাই না।’

Advertisement

সভাপতির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘রাজউকের জনবল কম থাকা সত্ত্বেও সেবা প্রদান কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেগবান হয়েছে। স্বল্প সময়ে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়াই সেবাগ্রহিতারা সেবা পেতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেবাপ্রত্যাশীদের নিকট থেকে অনেক মতামত ও পরামর্শ এসেছে। ভবিষ্যতে তাদের মতামত ও পরামর্শ মোতাবেক সহজে ও দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের চেষ্টা করব।’

সেবাগ্রহিতাদের সহজে ও দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজউকে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ২৩-২৭ জুন পাঁচ দিনব্যাপী পালন করা হয় রাজউক সেবা সপ্তাহ ২০১৯।

রাজউক চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমজাদ হোসেন খান।

এএস/এনডিএস/জেআইএম

Advertisement