রাজনীতি

‘স্বাধীনতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ছেন শেখ হাসিনা’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুটি উদ্দেশ্যে সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। স্বাধীনতা ও ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। তিনি স্বাধীনতা দিয়ে যেতে পারলেও আরেকটি পারেননি। তবে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার পথে অনেকখানি এগিয়ে গেছেন। আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশ। উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ।

Advertisement

আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ : অভিন্ন সত্তা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অসহযোগ আন্দোলন করেছেন। নির্বাচনে জয়ী হলেও ক্ষমতা পায়নি আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগ ৬ দফা পেশ করেছে। স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বঙ্গবন্ধু। মূলত ৭ মার্চেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাকিটা ছিল সংগ্রাম আর স্বাধীনতার প্রক্রিয়ার অংশ। আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তোফায়েল আহমেদ।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু মুক্ত হয়ে লাহোর থেকে লন্ডনে যান, সেখানে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি দেশে যাবেন, আপনার দেশ তো বিধ্বস্ত, কিছুই তো নাই। আপনি কী করবেন?

Advertisement

বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন, আমার মাটি যদি থাকে, মানুষ যদি থাকে, তাহলে ওই ধ্বংসস্তূপ থেকেই দেশকে আমি ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত শস্যশ্যামলা বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। তিনি স্বাধীনতা এনে দিতে পারলেও দারিদ্রমুক্তি দিতে পারেননি। তার কন্যা শেখ হাসিনার হাতে এখন দেশের পতাকা। সেই কাজটিই এখন তিনি করে যাচ্ছেন। তার চেষ্টায় বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিকমণ্ডলে মর্যাদাশালী রোল মডেল।

স্বাধীনতার পর বাজেট ছিল ৭৮৭ কোটি টাকা। আর এ বছর আমরা বাজেট ঘোষণা করেছি ৫ লাখ ২৩ হাজার ১শ ৯০ কোটি টাকা। কোথা থেকে কোথায়। ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছিল আমাদের রফতানি আয়। এখন তা ৪১ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে। মাথাপিছু আয় ছিল ৭০ ডলার, এখন তা ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আজ ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা হবো ২৯তম ও ২০৫০ সালের মধ্যে আমরা হবো ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ।

২০২০ সাল বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী। আর ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এই দুটি বছরকে সামনে রেখে কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সাবেক সচিব নাছির উদ্দিন, মেজর জেনারেল (অব:) মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক জবি ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম শরীফ।

Advertisement

জেইউ/এনএফ/জেআইএম