বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই একই সূত্রে গেঁথে আছে। তাই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি প্রয়োজন।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত সংহতি সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে এ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সরকার তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্তি দিতে বিলম্ব করছে। কারণ সরকার জানে অপশাসন ও অগণতান্ত্রিক আচরণের প্রতিবাদ করার মূল ভিত্তি দেশনেত্রী খালেদা জিয়া।
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দাবি করবো দেশনেত্রীকে মুক্তি দেয়া হোক। জনগণের কাছে জবাদিহিতা করবে এমন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্বাচন দেয়া হোক। বাজেটের নামে সাধারণ মানুষকে করের বোঝায় আটকে ফেলার চক্রান্ত বন্ধ করা হোক। সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাজেটের এমন সব প্রস্তাব প্রত্যাহার করা হোক। আমরা চাই দেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ যেন শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারে।
Advertisement
তিনি বলেন, এ সরকার যানজট নিরসনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। দিনে দুপুরে মানুষ হত্যা হয়, তার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষকদের রাস্তায় বসে থেকে দাবি আদায় করতে হয়। সাংবাদিকদের হত্যার বিচার হয় না। সাগর-রুনি হত্যার পরে বলা হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা হবে। কিন্তু ৪৮ বছরেও গ্রেফতার হবে কি-না তার হিসাব করতে হয়। এ ধরনের সরকার জনগণের মাথায় সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে থাকবে আর জনগণ তা ঝেড়ে ফেলবে না এটা হবে না। নিশ্চয়ই জনগণ এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে এবং বিজয়ী হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে সংহতি সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, ন্যাপ ভাসানীর সভাপতি অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফারুক রহমান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের মহাসচিব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা ফরিদ উদ্দিন, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, মাওলানা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
কেএইচ/এএইচ/এমকেএইচ
Advertisement