চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে বিএনপি’র নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়েছে। টেলিভিশনে ক্যামেরায় কভারেজ পেতে এরকম বাকবিতণ্ডা প্রতিদিন দেখা গেলেও আজ (বুধবার) এর ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যায়।বুধবার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শুরুর আগে এ ঘটনা ঘটে। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে কিছু নেতা-কর্মী যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম ও বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীনকে মারতে তেড়ে যান। এসময় দলটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপনে নীরব দর্শক হয়ে বসে থাকেন। পরবর্তীতে এরকম ঘ্টনার জন্য তিনি গণমাধ্যেমর কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। যা তিনি প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনেই করে থাকেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নজরুল চেয়ারে বসলে শাহীন তাকে বাধা দেন। এসময় ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল বলেন, আপনার মতো নেতাদের কারণেই আজকে বিএনপি’র এই অবস্থা। আমরা যারা দলের জন্য রক্ত ঝরিয়েছি তারা যদি বসতে না পারে তাহলে কারা বসবে। তখন শাহীন বলেন, চেয়ারে বসার স্থান বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য। কোন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বসার জন্য নয়। তবে এসময় মহিলা দলের বেশ কয়েকজন নেত্রীকে ঐসব চেয়ারে বসতে দেখা গেছে। কিন্তু তাদের প্রতি কোন অভিযোগ তোলা হয়নি। এর একপর্যায়ে আসাদুজ্জামান রিপন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দয়া করে এই সংবাদটি আপনারা গণমাধ্যমে প্রকাশ করবেন না। এসব সংবাদ প্রকাশিত হলে দলের নেতা-কর্মীরা হতাশ হবেন। এরকম ছোট-খাট ঘটনা প্রায়ই ঘটে এবং ঘটবেও। তবে আপনারা এসব বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করলে উপকৃত হবো। রিপন অভিযোগ করেন, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বন্যা পরিস্থিতির খবর যেন মিডিয়াতে সেভাবে প্রকাশিত না হয়। দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, চোখ বুজে সমস্যা আড়াল করা যাবে না। এসব সমস্যা যদি গণমাধ্যমে প্রকাশিত না হয় তাহলে কোন সংবাদ প্রকাশিত হবে। কারণ এসব সংবাদই জাতীয় জীবনে প্রভাব ফেলবে এবং সমস্যা সমাধানের পথ বের করে দেবে। এমএম/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement