জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরা আর বসে থাকব না বলে হুঁশিয়ার করেছেন দলটির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।
Advertisement
রাজধানীর এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার জাতীয় পার্টির চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সভায় এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হলে আমরা আর বসে থাকব না। পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ছুটে যাব। কথা বলব প্রশাসনসহ সশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি আর কারও ক্ষমতার সিঁড়ি হবে না। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। জাতীয় পার্টি কারও জোটের অধীনে নির্বাচন করবে না। নিজস্ব প্রতীক নিয়েই জাতীয় পার্টি নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। দেশের মানুষ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং জাতীয় পার্টিকে ভালোবাসে। আগামী নির্বাচনে সাধারণ মানুষ লাঙ্গল প্রতীকেই ভোট দেবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির বিজয় সুনিশ্চিত।’
Advertisement
এ সময় তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মসিউর রহমান রাঙ্গা।
১৯৯৬ সালের কথা স্মরণ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘সেদিন জাতীয় পার্টির সমর্থন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছিল। জাতীয় পার্টির বদৌলতে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ এর প্রতিদান দিয়েছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর মামলা ও হামলা দিয়ে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক স্থানে জাতীয় পার্টির বিজয় ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে।’
জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ রাজনীতি সম্পর্কে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে আর পকেট কমিটি হবে না। কাউন্সিলের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। আমরা তৃণমূল পর্যায়ে কাউন্সিলে উপস্থিত হয়ে নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে নেতৃত্ব নির্বাচন করব।’
এ সময় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগকে জাতীয় পার্টির দূর্গে পরিণত করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান রাঙ্গা।
Advertisement
এদিকে সকাল থেকেই চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী মতিঝিল এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থান নেন। তারা স্লোগানে স্লোগানে আশপাশের এলাকা মুখর করে তোলেন। দীর্ঘদিন পরে পার্টির র্শীষ নেতাদের সামনে মনের কথা তুলে ধরতে পারবেন এমন প্রত্যাশায় সবার মাঝে উৎসবমুখর অবস্থা বিরাজ করছিল।
সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াতের পর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন যুগ্ম ধর্মবিষয়ক সম্পাদক হাফেজ ক্বারী ঈছা রুহুল্লাহ আসিফ। জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মূল সাংগঠনিক সভায় নেতাকর্মীরা প্রাণ খুলে মতামত দেন।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, আতিকুর রহমান আতিক, ব্যরিস্টার শামিম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কাজী মামুনুর রশীদ, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি, ড. নুরুল আজহার শামীম, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আলম মাস্টার, জিয়াউল হক মৃধা, সরদার শাহজাহান, জহিরুল ইসলাম জহির, জহিরুল আলম রুবেল, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শফিউল্লাহ শফি, সুলতান আহমেদ সেলিম, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু প্রমুখ।
এইউএ/এনডিএস/এমএস