টপ ফেবারিট হিসেবেই বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ভাবা হচ্ছিল, এবার হয়তো চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরবে তারাই। কিন্তু অবস্থা এখন মন দাঁড়িয়েছে যে, ইংল্যান্ডই হয়তো গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ে যেতে পারে। ৭ ম্যাচ থেকে ইংল্যান্ডের পয়েন্ট ৮। তাদের হাতে আছে আর দুই ম্যাচ। নিউজিল্যান্ড এবং ভারতের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচে যদি হেরে যায়, তাহলে বলা যায় বিদায়টা তাদের নিশ্চিতই।
Advertisement
এমন অবস্থা হলো কেন? কেন টানা দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলো তারা? এর জন্য ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যানকেই দায়ী করছেন নাসের হুসেইন, কেভিন পিটারসেন থেকে শুরু করে সাবেক তারকারা।
কেভিন পিটারসেন তো সরাসরি ইয়ন মরগ্যানের দুর্বলতাকেই দায়ী করলেন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬৪ রানে হারের জন্য। পিটারসেন মনে করেন, ব্যাট হাতে মরগ্যানের কাছ থেকে যে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করা হয়েছিল, তার ছিঁটেফোটাও পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে নাসের হোসেন তার এক কলামের শিরোনামই দিয়েছেন, ‘স্যরি ইয়ন, ইউ আর রং..., দ্যাট বোলিং ডিসপ্লে ওয়াজ জাস্ট নট গুড এনাফ’।
Advertisement
টস হেরে লর্ডসে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে রান সাড়ে তিন শ’ পার হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ইংলিশদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ২৮৫ রানেই থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। সবাই ভেবেছিল, ইংল্যান্ড হয়তো খুব সহজেই এই রান পার হয়ে যেতে পারবে।
কিন্তু ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে গেলো ২২১ রানে। পরাজয় বরণ করতে হলো ৬৪ রানে। ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান মাত্র ৭ বল খেলে আউট হলেন ৪ রান করে। এতেই সমালোচনা মুখর হয়ে উঠলেন কেভিন পিটারসেন।
পিটারসেন টুইটারে লেখেন, ‘মিচেল স্টার্ক যখন ইংলিশ অধিনায়ককে প্রথম বল করতে আসলেন এবং তিনি যেভাবে বলটাকে স্কয়ার লেগে তুলে দিলেন, তখনই আমার মনে হলো আগামী সপ্তাহের দিকে দারুণ বিপদে পড়তে যাচ্ছে ইংল্যান্ড।'
এরপরই পিটারসেন লিখেন, ‘তবে আমি আশা করি না এমন হোক। তবে আমি আর এ ধরনের দুর্বল ক্যাপ্টেন শো দেখতে আমি চাই না।’
Advertisement
তবে পিটারসেনের কথা হেসেই উড়িয়ে দিলেন মরগ্যান। তাকে পিটারসেনের বক্তব্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে মরগ্যান বলেন, ‘রিয়্যালি? এক্সিলেন্ট। আমি আসলে তার মত কোনো কিছু অনুভব করি না।’
নাসের হুসেইন তার এক কলামে লেখেন, ‘আমি প্রায়ই যে মরগ্যানের মতের সঙ্গে অমত করি তা নয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই হারের পর বলতে ইচ্ছে হচ্ছে, লর্ডসে ইংল্যান্ড অনেক ভালো বল করেছে যে এমন নয়। হ্যাঁ, টস জিতে বোলার ফ্রেন্ডলি কন্ডিশনে বোলিং বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত ঠিকই আছে। কারণ, ইংল্যান্ডের বোলিং শক্তিটাও অনেক ভালো। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোলাররা উইকেট নেয়ার মত কয়টি বল করতে পেরেছে? কয়টি বল করেছে এমন যেগুলো স্ট্যাম্পে আঘাত হানতে পারতো? তবুও, মরগ্যান চেষ্টা করে যাচ্ছে তার বোলারদের বাঁচাতে।’
আইএইচএস/এমকেএইচ