জাতীয়

মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, নির্মূল কঠিন : ডিআইজি গোলাম ফারুক

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার মো. গোলাম ফারুক বলেছেন, মাদক হলো সব অপরাধের মা। মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, কিন্তু নির্মূল করা কঠিন কাজ। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে বিভিন্ন দেশ। সে যুদ্ধে ফিলিপাইন, কলম্বিয়ায় লাখো মানুষ মারা গেছে। দুইবার আফিম যুদ্ধ করেছে চীন। বাস্তবতা কঠিন। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন > চট্টগ্রাম কারাগারে ইয়াবার রমরমা কারবার!

বুধবার (২৬ জুন) সকালে নগরের মোটেল সৈকতে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের আয়োজনে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিআইজি খন্দকার বলেন, আফগানিস্তানে পপি ফুলের চাষ হয়। মাদক ব্যবসা হলো- তাদের আয়ের বড় উৎস। তারা পর্দার জন্য মেয়েদের গায়ে আলকাতরা মাখতে পেরেছে, কিন্তু পপি ফুলের চাষ বন্ধ করতে পারেনি। পাকিস্তানে মাদকের করিডোর। মাদক, অস্ত্র ও মানবপাচার মাফিয়া ডনদের বড় ব্যবসা।

Advertisement

আরও পড়ুন > আত্মসমর্পণে প্রাণ রক্ষা, নিরাপদে কারবার

তিনি আরও বলেন, নতুন আইনে ২৫ গ্রাম ইয়াবাসহ ধরা পড়লে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাই সমাজে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তাহলে চাহিদা কমে যাবে। চাহিদা কমলে সরবরাহ কমে যাবে। মাদকসেবীদের চিকিৎসা করাতে হবে। মাদক নিরাময় কেন্দ্র বাড়াতে হবে। এখন যে বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র আছে, সেগুলোয় সমস্যা অনেক। হয় নিজেরাই মাদক তুলে দিচ্ছে, নয়তো নির্যাতন করছে।

দেশপ্রেমই পারে মাদকের আগ্রাসন ঠেকাতে মন্তব্য করে খন্দকার মো. গোলাম ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দমিয়ে রাখতে পারেনি। হলি আর্টিজানে, শোলাকিয়ায় হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত হয়েছে। কিন্তু দেশপ্রেমের অভাবে আমরা মিয়ানমারের কাছে পরাজিত হচ্ছি। তারা ১২ লাখ রোহিঙ্গা চাপিয়ে দিয়েছে। তারা ইয়াবা দিয়ে এ দেশ থেকে টাকা পাচার করছে।

আমাদের দেশের উচ্চশিক্ষিত, মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা ইয়াবায় আসক্ত। অথচ মিয়ানমারে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিতে ঘোড়াকে ইয়াবা খাওয়ানো হয়। এটা সেবন করলে ক্ষুধা লাগে না, ঘুম আসে না।

Advertisement

আরও পড়ুন > মাদকের সঙ্গে ওপর তলার কিছু মানুষও জড়িত : মেনন

প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মাদকবিরোধী যুদ্ধেও বিজয় আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিআইজি।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. গাজী গোলাম মাওলা, র‌্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মো. মেহেদী হাসান।

আবু আজাদ/জেডএ/জেআইএম