ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) একটি কক্ষ থেকে দুই তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত ১টার দিকে টিএসসির ট্যুরিস্ট সোসাইটির কক্ষ থেকে তাদের উদ্ধার করে আবাসিক হলে পাঠিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
Advertisement
উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থী দুটি বিভাগের তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এবং তারা ট্যুরিস্ট সোসাইটির সদস্য। এছাড়া ছাত্রীর নাম জালিয়াতি করে ভর্তি হওয়াদের তালিকায় আছে বলে জানা গেছে।
টিএসসির পরিচালক মহিউজ্জামান বলেন, সংগঠনগুলো সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কক্ষ ব্যবহার করতে পারে। আমি ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। শিক্ষার্থীরা যদি এ রকম কাজ করে তাহলে তো কারও পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, আমরা খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সেখানে পাঠাই। তারা সেখানে দুজন শিক্ষার্থীকে পায়। পরে হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের পাঠিয়ে দেয়া হয়। তারা এতো রাতে কেন সেখানে ছিল, সে বিষয় নিয়ে পরে বিস্তারিত বলা হবে এবং অপরাধ প্রমাণিত হলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
তবে উদ্ধার হওয়া দুই শিক্ষার্থীর দাবি, তারা সেখানে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হলে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে সেখানে অবস্থান নেন।
জানা গেছে, রাত ১১টায় টিএসসির কর্মচারী কিরণের কাছ থেকে চাবি নিয়ে তারা ট্যুরিস্ট সোসাইটির অফিসে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দরজা ও লাইট বন্ধ করে দেয়। রাত ১টার দিকে সাংবাদিকরা দরজায় টোকা দিলে তারা দরজা খোলে। এরপর ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হন। আটক ছাত্রী প্রথমে তার নিজের নাম না বলে একই হলের তৃতীয় বর্ষের অন্য আরেক মেয়ের নাম বলে ভুয়া পরিচয় দেয়। ছেলেটিও নিজের পরিচয় গোপন রাখার চেষ্টা করে।
হল থাকতে কেন টিএসসির কক্ষে ঘুমাচ্ছিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্র বলেন, ও (ছাত্রীর) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছায়। ১০টার পরে আর হলে প্রবেশের সুযোগ না থাকায় সেখানে ছিলেন তারা।
সংগঠনটির সভাপতি আসিফ উল আলম বলেন, ঘটনাটি অল্প শুনেছি। সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
এমএইচ/এমএসএইচ/জেআইএম