আন্তর্জাতিক

ইউরোপে ঠাঁই পাচ্ছেন শরণার্থীরা

শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে এক লাখ ২০ হাজার অভিবাসী নেয়ার প্রস্তাব করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ ইয়োঙ্কার। বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রস্তাব করেন। খবর বিবিসি।এর আগে গত মে মাসে কমিশনের বৈঠকে ৪০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। এবার নতুন করে আরো এক লাখ ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয়ের প্রস্তাব করলেন ইয়োঙ্কার।শরণার্থী সমস্যা মোকাবেলায় ইউরোপের দেশগুলোকে একটি সহজ, সংকল্পবদ্ধ আর সমন্বিত পদক্ষেপ নিতেও কমিশনের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।ইয়োঙ্কার বলেন, শরণার্থীদের নিয়ে দ্বিধা বা ভয়ের সময় এখন নয়।স্টেট অব দি ইউনিয়নের বার্ষিক বক্তৃতায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রায়োধিকার তুলে ধরার সময় কমিশনের প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণা এলো। বক্তব্যের শুরুতেই জ্যঁ-ক্লদ ইয়োঙ্কার বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন ভালো পরিস্থিতিতে নেই, ইউনিয়নের ভেতর ইউরোপের অনুপস্থিতি রয়েছে, আর ইউনিয়নের ভেতর ঐক্য নেই।শরণার্থী সংকট সমাধানের বিষয়টিকে তিনি মানবিকতা আর মানবিক আচরণ বলে মন্তব্য করেন।ইয়োঙ্কারের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গত মে মাসে প্রত্যেক দেশের ৪০ হাজার শরণার্থী নেয়ার যে প্রস্তাবনা ছিল, প্রতিটি দেশ তার অতিরিক্ত আরো ১ লাখ ২০ হাজার শরণার্থী গ্রহণ করবে। যদিও তখন দেশগুলো মাত্র ৩২ হাজার শরণার্থী গ্রহণে সম্মত হয়েছিল। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় এখন ইতালি, গ্রিস ও  হাঙ্গেরিতে থাকা শরণার্থীদের অন্তত ৬০ শতাংশ জার্মানি, ফ্রান্স আর স্পেন গ্রহণ করবে।এছাড়া বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, জনসংখ্যা, বেকারত্ব হার আর বর্তমান শরণার্থীর সংখ্যা বিবেচনায় দেশগুলোর কোটা নির্ধারণ করা হবে। কোন দেশ শরণার্থী গ্রহণে অস্বীকৃতি জানালে আর্থিক জরিমানার বিধান থাকবে। ভবিষ্যতে এরকম সংকট সহজ আর ঠিকভাবে সমাধানে একটি স্থায়ী কার্যব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রস্তাব দিয়েছেন ইয়োঙ্কার।এসআইএস/আরআইপি

Advertisement