জাতীয়

রাতে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাতে যান কিনছে পুলিশ

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের গোয়েন্দা তথ্য থাকা সত্ত্বেও রাতে অভিযান পরিচালনা করতে অসুবিধা হতো বাংলাদেশ পুলিশের। এ জন্য দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো তাদের। এ সমস্যা সমাধানে ‘ফ্লাড লাইট ভেহিকেল’ কেনা হচ্ছে।

Advertisement

হলি আর্টিজানের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় অভিযান পরিচালনার জন্য সুরক্ষিত যানবাহনও নেই পুলিশের। এ জন্য আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ারের (এপিসি) মতো সুরক্ষিত যানবাহনও কেনা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কেনা হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যানবাহন সমস্যা সমাধানে ৩৫টি গাড়িও।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

আরও পড়ুন > হলি আর্টিসান মামলার বিচার শুরু

Advertisement

‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শিরোনামের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করবে ৪০ কোটি ৮ লাখ এবং জাপান সরকার অনুদান দেবে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ বাংলাদেশ ও জাপান সরকারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ পুলিশ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

বাংলাদেশ পুলিশ সূত্র জানায়, বর্তমানে ডিএমপিকে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হয়। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও লজিস্টিকসের অভাবে অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ/ ডিএমপিকে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আর্মড পার্সোনেল ক্যারিয়ারের (এপিসি) মতো সুরক্ষিত যানবাহনের অভাবে অনেক সময় সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না।

আরও পড়ুন > ‘হলি আর্টিসান ঘটনার পর আমরা ঘাবড়ে গিয়েছিলাম’

Advertisement

এ ছাড়া নিকট অতীতে দেখা গেছে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রাতের বেলায় সংঘবদ্ধ হয়। কিন্তু ডিএমপির ফ্লাড লাইট ভেহিকেলের মতো বিশেষ ধরনের যানবাহন না থাকায় গোয়েন্দা তথ্য থাকা সত্ত্বেও রাতের বেলায় অভিযান পরিচালনা করা যায় না। দিনের আলো ফোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়, যার ফলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো তাদের কার্যক্রম পরিকল্পনায় পর্যাপ্ত সময় পায়।

সার্বিক প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশ পুলিশের যানবাহনের সংখ্যা কম। এ জন্য জাপান সরকার ৩৫টি যানবাহন সরবরাহের মাধ্যমে ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে বলেও জানায় পুলিশ।

পিডি/জেডএ/জেআইএম