নয়াপল্টনের কাজী টাওয়ারের সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস ইনকর্পোরেশনে অভিযানে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পেলেন সৌদি এয়ারলাইন্সের হজের ১৩ হাজার টিকিট, যা মোট টিকিটের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ। সরকার নির্ধারিত ৩০০ টিকিটের জায়গায় অতিরিক্ত টিকিট নিয়ে সেগুলো অতিরিক্ত দামে বিক্রির দায়ে তাদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে চলে র্যাবের এই অভিযান। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে একটি ট্রাভেলস এজেন্সির এয়ারলাইন্স থেকে সর্বোচ্চ ৩০০ টিকিট বরাদ্দ পাওয়ার কথা। সানশাইন এক্সপ্রেস ট্রাভেলস সরকারি আদেশ অমান্য করে সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৩ হাজার ২০টি টিকিট বরাদ্দ নিয়ে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করেছে।
তিনি বলেন, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রী হজে যাচ্ছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব হজযাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশ বিমানে ৫০ শতাংশ ও সৌদি এয়ারলাইন্স ৫০ শতাংশ হজযাত্রী বহন করবে।
সারওয়ার আলম বলেন, সৌদি এয়ারলাইন্সের কিছু লোকের যোগসাজশে এ রকম কিছু ট্রাভেলস এজেন্সি অতিরিক্ত টিকিট বরাদ্দ নিয়েছে। একই সঙ্গে তারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে প্রতি টিকিটে গড়ে ২৫ হাজার টাকা বেশি নিয়েছে।
Advertisement
৩০০ এর জায়গায় ১৩ হাজার টিকিট কেন? জানতে চাইলে সানশাইন ট্রাভেলসের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, হজের আগে টিকিট বেশি বিক্রির ওপর ভিত্তি করে (সেলস পারফরম্যান্স) সৌদি এয়ারলাইন্স তাদের টিকিট বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা জোর করে বা সিন্ডিকেট করে টিকিট বরাদ্দ নেইনি। সৌদি এয়ারলাইন্স যারা বেশি টিকিট সেল করে তাদের বেশি টিকিট বরাদ্দ দিয়ে থাকে। তবে তারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে টিকিট বিক্রি করেন না বলে দাবি করেছেন।
একইভাবে সরকারের আদেশ অমান্য করে পল্টনের হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল চার হাজার ৮০০টি টিকিট, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস এক হাজার ৬০০ টিকিট ও গোল্ডেন বেঙ্গল তিন হাজার ৭০৮টি টিকিট বরাদ্দ নিয়েছে বলে জানান সারওয়ার আলম। তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, যারা অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট কিনেছেন তারা যদি আমাদের কাছে ডকুমেন্টসসহ প্রমাণ দিতে পারেন তাহলে তারা টাকা ফিরে পাবেন।
Advertisement
এআর/বিএ/পিআর