আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে গেল। এদের ছাড় দেয়া যাবে না। এই টাকা আদায় করতে না পারলে এদের সম্পদ বিক্রি করে গ্যাস, বিদ্যুতে ভর্তুকি দিন। এদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই সংসদে যেসব জনপ্রতিনিধি আছেন তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংসদ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করা হোক। কারণ এমপিরা জনগণের প্রতিনিধি। তাদের এমপিও অন্তর্ভুক্তিতে অবশ্যই প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদরাই দেশ পরিচালনা করেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান। ভুল-ত্রুটি হতে পারে কিন্তু তারাই দেশ পরিচালনা করেন, এই রাজনীতিবিদরাই দেশ স্বাধীন করেছেন।
Advertisement
নাসিম বলেন, মোবাইলফোনে যে অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করুন। সঞ্চয়পত্র হচ্ছে গরিবের সোনার বাটি। এর ওপর উৎসে কর ধার্য করবেন না। গ্যাসের দাম কমানোর জন্য, গরিবের বিদ্যুতের দাম কমানোর জন্য প্রয়োজনে ভর্তুকি দিন।
তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল দীর্ঘদিন। এই সময় ব্যাংক সেক্টরসহ প্রশাসন- সর্বত্রই জামায়াত-শিবির বসেছিল। তারা চেষ্টা করে যাতে শেখ হাসিনার সরকার ব্যর্থ হয়। এ বিষয়গুলো দেখতে হবে, ব্যবস্থা নিতে হবে।
সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অর্থমন্ত্রীকে বলব- এ বাজেট অবশ্যই বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা করতে পারবে না তাদের জবাবদিহি করতে হবে। সে মন্ত্রী হলেও তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সুবিধাবাদী ব্যবসায়ীরা আজ সংসদে। তারা সরকারের মধ্যেও ঢুকে পড়েছে। এরা সুবিধাবাদী, এরা দুদিক থেকেই সুবিধা নেয়। এরা গার্মেন্টস মালিক হয়েছেন, মিডিয়ারও মালিক হয়েছেন। আমাদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধেই আবার লেখেন।
Advertisement
এইচএস/বিএ/এমএস