জাতীয়

কেন মধ্যরাতের পার্লামেন্ট, ব্যাখ্যা দিলেন হারুনুর রশীদ

নির্বাচন সম্পর্কে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের শিরোনাম উল্লেখ করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কৌশলে বিএনপি হেরে গেছে, এটা ঠিক নয়। নির্বাচনের আগের রাতেই ব্যালট ভর্তি, পরের দিন গণনা। এজন্য এ সংসদকে বলা হচ্ছে মধ্য রাতের পার্লামেন্ট।

Advertisement

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন >> শীর্ষ ৩০০ ঋণখেলাপির কাছে ৫১ হাজার কোটি টাকা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ থেকে নির্বাচিত এ সাংসদ আরও বলেন, এ সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা প্রতারিত ও অপমানিত হয়েছেন। ‘নির্বাচন পরিচালনার জন্য পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পুলিশ সুপারদের যে চিঠি দেয়া হয়েছে তা নজিরবিহীন’ দাবি করে তিনি বলেন, ‘চিঠিতে নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও আন্তর্জাতিক মানের হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে এসপিরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সক্ষম হয়েছেন বলেও সেখানে বলা হয়। এই যে সুষ্ঠু পরিকল্পনা- এটার মধ্যেই প্রশ্ন রয়েছে। রাতে সিল থাকাতে নির্বাচন কমিশন এখন বলছে, ব্যালট পেপার পাঠাব সকালবেলা। স্বচ্ছ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ।

Advertisement

সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি মন্তব্য প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত করে দেয়া দরকার। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে পারেনি ইসি। তারা ব্যর্থ, অযোগ্য। কোনো সন্দেহ নেই।

তিনি বলেন, জননিরাপত্তা এখন কোথায়? এ সরকারের আমলে গত ১০ বছরে নিখোঁজ হয়েছে প্রায় ১২শ মানুষ। গুম ও ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে কতজন, আমি জানি না। আমি এ সংসদে কথা বলছি, আমি আজ বাড়ি ফিরে যেতে পারব কি না, রাস্তা থেকে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার পরিচয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে আমার ভাগ্যে ইলিয়াসের ভাগ্য জুটবে কি না- এ কথা বলতে পারব না। তারা (সরকারি দল) আমাদের উপহাস করে বলে, বিএনপি রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না। বিএনপির কত নেতাকর্মী গুমের শিকার হয়েছে, অপহরণ, ক্রসফায়ারের শিকার হয়েছে, তার তথ্য আমি আপনার (স্পিকার) কাছে পৌঁছে দেব।

আরও পড়ুন >> আমি সংসদে দাঁড়ালেই ৩০০ এমপি উত্তেজিত হন : সংসদে রুমিন

বিভিন্ন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৯০ হাজার মামলা হয়েছে। সরকারি দল তো সবসময় বলে মেজর জিয়া মদের লাইসেন্স দিয়েছেন। উনি তো মুসলমানদের জন্য লাইসেন্স দেননি। অন্য ধর্মের জন্য দিয়েছেন। তো আপনারা ২০ বছর ক্ষমতায়। কেন সেই লাইসেন্স বাতিল করছেন না?

Advertisement

‘বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ’- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাংক লুটেরা, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা এ বাজেটে উল্লেখ নেই। এটা একটা অদ্ভূত সরকার। মহাজোটের ভোট করে শরিকদের বিরোধী দলে বসিয়ে দিলেন। আজ সংসদে তাদের চেহারা মলিন। উনাদের অবস্থা নিয়ে উনারা-ই আজ বিব্রত।

এইচএস/এমএআর/এমএস