জাতীয়

কলরেটে কর বাড়ানোর প্রস্তাব বাতিলের দাবি

নতুন করে মোবাইল কলরেটে ৫ শতাংশ কর বাড়ানোর যে প্রস্তাব বাজেটে করা হয়েছে তা বাতিল করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

Advertisement

সংগঠনের সভাপতির বক্তব্যে মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও বর্তমানে প্রধান সমস্যা দফায় দফায় বিনা কারণে করারোপ করা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব আনার সাথে সাথে অপারেটরা তা কার্যকরের যে উদ্যোগ নিয়েছে, এটি আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি।

তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত চলমান হাইকোর্টের রিটের নিষ্পত্তি না হওয়া সত্ত্বেও সরকার ও অপারেটররা গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে শুল্ক আদায় করছে; যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। অপারেটরদের কাছে ১২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আদায় না করে গ্রাহকদের কাছ থেকে নতুন করে অর্থ আদায় করার প্রচেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, নতুন করে সিমকার্ডের ওপর অতিরিক্ত ১০০ টাকা কর প্রত্যাহার করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে সংযোগ গ্রহণ করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ওপর জুলুমের সামিল। গত অর্থবছরে ইন্টারনেটের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলেও গ্রাহকরা আজ পর্যন্ত কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পায়নি। উল্টো চলতি অর্থবছরের বাজেটে নতুন করে ৫ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে।

Advertisement

গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, অতিরিক্ত ব্যয় আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ডিজিটাল প্রযুক্তির সেবা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করবে। আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বর্ধিত কর অবশ্যই বাধা সৃষ্টি করবে। তাই চলতি বাজেট অধিবেশনে দু-এক দিনের মধ্যে বর্ধিত কর প্রত্যাহার করতে হবে। না হলে আগামী ২৯ জুন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি গ্রহণ করবো।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আবু বক্কর সিদ্দিক, ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশের সভাপতি কাজী সাব্বির, গ্রীন মুভমেন্টের আহ্বায়ক বাপ্পি সরদার, যাত্রী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সাব্বির আহমেদ হাজরা, কাজী আমানউল্যাহ মাহফুজ, মোসলেম উদ্দিন প্রমুখ।

এমএইচএম/এনএফ/এমএস

Advertisement