বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমার এলাকাতেই (রংপুরে) প্রায় ৫০-৬০ হাজার বিড়ি শ্রমিক কাজ করে। তাদের বিকল্প চাকরির একটা ব্যবস্থা না করে তাদের সরিয়ে দিলে তারা বাঁচবে কী করে? পাশাপাশি সিগারেটে ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে বিড়িকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।
Advertisement
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন>> সিগারেটের দাম বাড়ায় খুশি নারীরা
৫ বছর পর ১০ লাখ কোটি টাকার বাজেট
Advertisement
বাজেটে পোশাক খাতে ভর্তুকি ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়ে
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সঠিক পথেই এগোচ্ছি। সব ক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। আগামী ৫ বছর পর এই সংসদে ১০ লাখ কোটি টাকার বাজেট করতে পারব বলে মনে করি।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ ২০০৫-০৬ সালে যে অবস্থা ছিল সেটার প্রায় সাড়ে ৩ গুণ অর্থাৎ ৩৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রফতানি আয় ৩৩ বিলিয়ন, এবার হয়তো ৪০ বিলিয়ন ডলার রফতানি করতে পারব। আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে ৬০ বিলিয়ন ডলার রফতানি।
বর্তমান সরকারের আমলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
আরও পড়ুন>> সিগারেট ছাড়তে চাইলে যা খাবেন
কালো টাকা কথাটা ঠিক না
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাহসী মানুষ। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধারণ করে দেশটাকে স্বপ্নের সোনার বাংলা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। উন্নয়ন দৃশ্যমান।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তিনি বলেন, কালো টাকা কথাটা ঠিক না। এটা অপ্রদর্শিত অর্থ বলা সঠিক। আমরা মনে করি, অপ্রদর্শিত অর্থকে সুযোগ দিলে নতুন করে বিনিয়োগ বাড়বে। কালো টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে যে কোনো উপায়ে ওই টাকা দেশ থেকে বের হয়ে যাবে।
এইচএস/জেডএ/পিআর